এখন থেকে প্রতি বছর বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রধান কার্যক্রমগুলোর ভাতার হার এখন থেকে প্রতি বছর বাড়বে। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির ভাতা, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ভাতা এবং অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ভাতার হার প্রতি বছর কমপক্ষে একবার মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এজন্য এসব কর্মসূচির পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর ভাতার হার বাড়ানো, কমানো বা অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বা উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিকে সহায়তা করার জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রধান প্রধান ছয়টি কর্মসূচির পর্যায়ক্রমি পর্যালোচনা করবে। এই পর্যালোচনা করার ক্ষেত্রে ভোক্তা মূল্য সূচককে (সিপিআই) বেঞ্চমার্ক অর্থনৈতিক সূচক হিসেবে ব্যবহার করবে। এই কমিটি বছরে ন্যূনতম একবার ভাতার হার পর্যালোচনা করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, দেশের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের সব মানুষকে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। পাশাপাশি এই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা জীবনযাপনের ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিশেষ করে খাদ্য, ওষুধ, পোশাক পরিচ্ছদের মূল্য পরিস্থিতির সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে সরকারের। সেজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২৭টি মন্ত্রণালয় ১৪০টি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রধান প্রধান কর্মসূচিগুলো পরিচালনা করে থাকে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এসব কর্মসূচি বাবদ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।