জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি

মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ভোটে জয়ী হয়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট সানায়ে তাকাইচি।
এর মধ্য দিয়ে তিনি জাপানের 'গ্লাস সিলিং' বা অদৃশ্য বাধা ভেঙে দেশটির প্রথম নারী নেতা হলেন।
৬৪ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ জাপানের 'লৌহমানবী' (আয়রন লেডি) হিসেবে পরিচিত। তিনি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের অনুরাগী।
তৃতীয় প্রচেষ্টায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন তাকাইচি। কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত দল এলডিপি থেকে গত পাঁচ বছরে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী তিনি।
তাকাইচি এলডিপির কট্টরপন্থী অংশের নেতা এবং প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মানসশিষ্য হিসেবে পরিচিত।
তাকাইচি নিম্নকক্ষে প্রথম দফার ভোটেই বড় জয় পেয়ে রান-অফ (দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটি) এড়িয়ে গেছেন। ভোটে তিনি ২৩৭ ভোট পান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অভ জাপানের নেতা ইয়োশিহিকো নোদা পেয়েছেন ১৪৯ ভোট।
তাকাইচি যখন ভোট দিচ্ছিলেন, তখন সংসদ সদস্যরা করতালি দেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও তুমুল করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান।
এলডিপি ও জাপান ইনোভেশন পার্টির (জেআইপি) মধ্যে সোমবারের জোট চুক্তিই তাকাইচির জয়কে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল। এই চুক্তির ফলে তিনি ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকাল থেকে তাকাইচি তার মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট পদের প্রচারণার সময় তাকাইচি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি সরকার গঠন করলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী সংসদ সদস্যকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী তাকাইচি প্রায় ৩০ বছর ধরে নিম্নকক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের ধীরগতির অর্থনীতির মোকাবিলা করা, যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের অস্থির সম্পর্ক সামাল দেওয়া এবং কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত ক্ষমতাসীন দলকে ঐক্যবদ্ধ করা।