মার্কিন ওয়েবসাইটে মিলল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাম্পের ছেলের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের মতো বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির ব্যক্তিগত ফোন নম্বর একটি মার্কিন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহকারী এই ওয়েবসাইটটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের কার্যালয় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছে। একটি স্বাধীন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম 'Ette Media' প্রথম এই খবর প্রকাশের পর থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেত্রী সুসান লে-এর ব্যক্তিগত নম্বরও ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি 'স্পষ্টতই উদ্বেগজনক' এবং তারা তথ্যগুলো সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
ওয়েবসাইটটির দাবি, তাদের কাছে কয়েক কোটি পেশাদার ব্যক্তির যোগাযোগের তথ্য রয়েছে এবং এটি নিয়োগকারী সংস্থা ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।
বিবিসি নিশ্চিত করেছে যে এতে আলবানিজের এখনকার ব্যক্তিগত নম্বর এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের একটি ব্যক্তিগত যোগাযোগের নম্বর রয়েছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এখনো সেই নম্বরটি ব্যবহার করেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
কীভাবে ওয়েবসাইটটি এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে, তাও এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কয়েকটি বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নামে প্রকাশিত নম্বরে ফোন করেও কোনো সাড়া পায়নি। বিল ক্লিনটনের নম্বরে ফোন করলে একজন বিভ্রান্ত ব্যক্তি ফোনটি ধরেন।
ওয়েবসাইটটিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের একটি নম্বরও দেওয়া আছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, এটি বর্তমানে এমপি বা তার কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত নয়, যদিও এটি অন্য একটি সংসদীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত। এই নম্বরটি কখনো প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর নম্বর হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি।
ব্যবহারকারীরা সীমিত সংখ্যক যোগাযোগের জন্য বিনামূল্যে ডেটাবেসটি অনুসন্ধান করতে পারেন অথবা অর্থের বিনিময়ে পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, তারা মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ফাইলিংসহ বিভিন্ন সরকারি তথ্য সংগ্রহ করে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক, অন্যান্য ওয়েবসাইট ক্রলার এবং চাকরির পোর্টাল থেকে এআই ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে।
ওয়েবসাইটটিতে একটি 'অপট-আউট' ফর্মও রয়েছে, যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ডেটাবেস থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করতে পারেন।