শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

রাষ্ট্রীয় তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। খবর বিবিসি'র
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার বিদেশ সফরের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানী কলম্বোর একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করার কথা রয়েছে। তার আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে এ বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল 'আদা ডেরানা'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্রমাসিংহে তার স্ত্রী'র স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন—এ সফর ঘিরে তদন্তের অংশ হিসেবে কলম্বোর সিআইডি দপ্তরে জবানবন্দি দিতে গেলে তাকে সেখানেই আটক করা হয়। খবর রয়টার্সের
২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিক্রমাসিংহে। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশত্যাগ করলে তিনি দায়িত্ব নেন। এরপর শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে ফিরিয়ে প্রশংসিত হন তিনি।
বিক্রমাসিংহে ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ছয় দফায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিবিসি সিংহলের তথ্যমতে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে ২৩ বার বিদেশ সফরে যান, যার জন্য ব্যয় হয় ৬০০ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ২০ লাখ ডলার)।
এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবারের গ্রেপ্তারের সঙ্গে ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে তার এক সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সম্পর্ক রয়েছে। সে সময় কিউবায় জি৭৭ সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার পথে তিনি যুক্তরাজ্যে থেমে ওলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সিআইডির দাবি, এটি ছিল একটি ব্যক্তিগত সফর। ওই সফরে তিনি ও তার স্ত্রী ওলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যার খরচ বহন করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে। তবে বিক্রমাসিংহে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
রয়টার্সের অনুরোধে বিক্রমাসিংহের দপ্তর থেকেও কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।