জাপানে একই প্রতিযোগিতায় পৃথক লড়াইয়ে মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে ২ বক্সারের মৃত্যু

টোকিওর করোনাকুয়েন হলে আয়োজিত এক প্রতিযোগিতার পৃথক লড়াইয়ে মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পেয়ে মারা গেছেন দুই জাপানি বক্সার।
২৮ বছর বয়সী শিগেতোশি কোতারি ২ আগস্ট ওরিয়েন্টাল ও প্যাসিফিক বক্সিং ফেডারেশন (ওপিবিএফ) জুনিয়র লাইটওয়েট চ্যাম্পিয়ন ইয়ামাতো হাতার সঙ্গে ১২ রাউন্ডের লড়াই শেষে ড্র করেন। লড়াই শেষে কিছুক্ষণ পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মস্তিষ্কের মধ্যে রক্ত জমার কারণে তার জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে শুক্রবার তার মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব বক্সিং অর্গানাইজেশন (ডব্লিউবিও) শোকবার্তায় জানিয়েছে, 'শিগেতোশি কোতারির প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। তিনি রিংয়ের এক সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। তার অকাল প্রয়াণে আমরা গভীর শোকাহত। তার পরিবার, দল ও জাপানি বক্সিং সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।'
এর মাত্র এক দিন পর আরেকজন ২৮ বছর বয়সী বক্সার হিরোমাসা উরাকাওয়া নকআউট হারের সময় একই ধরনের মস্তিষ্কের আঘাতে আক্রান্ত হন। জীবন বাঁচাতে তার মস্তিষ্কে ক্রেনিওটমি (মাথার খুলির অস্ত্রোপচার) করা হয়, কিন্তু শনিবার তিনি মারা যান।
ডব্লিউবিও আরও জানায়, 'শিগেতোশি কোতারির মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এই মর্মান্তিক খবর পাওয়া সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমরা দুজন বক্সারের পরিবার, বন্ধু ও জাপানি বক্সিং সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।'
এই দুটি দুঃখজনক ঘটনার পর জাপান বক্সিং কমিশন ঘোষণা করেছে, এখন থেকে সব ওপিবিএফ টাইটেল লড়াই ১২ রাউন্ড থেকে কমিয়ে ১০ রাউন্ডে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
এ বছর শুরুর দিকে আইরিশ বক্সার জন কুনি বেলফাস্টে নিবিড় পরিচর্যায় (ইন্টেনসিভ কেয়ার) নেওয়ার এক সপ্তাহ পর মারা যান। তিনি সেল্টিক সুপার ফেদারওয়েট শিরোপার লড়াইয়ে নাথান হাউলসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।