Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
August 17, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, AUGUST 17, 2025
এক সময়ের টেক জায়ান্ট জাপান কেন এখনও ফ্যাক্স মেশিন আর হানকো সিলের যুগে আটকে আছে?

আন্তর্জাতিক

সিএনএন
12 August, 2025, 03:55 pm
Last modified: 12 August, 2025, 03:59 pm

Related News

  • জাপানে একই প্রতিযোগিতায় পৃথক লড়াইয়ে মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে ২ বক্সারের মৃত্যু
  • ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কায় টয়োটার মুনাফা কমার পূর্বাভাস, ৯.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা
  • শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রাশিয়া-জাপান-যুক্তরাষ্ট্রে সুনামির আঘাত
  • রুশ উপকূলে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প; জাপান-রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রে সুনামি সতর্কতা জারি, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের
  • জালিয়াতির মামলায় দীর্ঘসূত্রতা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ স্থগিতের চিন্তা জাপানি প্রতিষ্ঠানের

এক সময়ের টেক জায়ান্ট জাপান কেন এখনও ফ্যাক্স মেশিন আর হানকো সিলের যুগে আটকে আছে?

সিএনএন
12 August, 2025, 03:55 pm
Last modified: 12 August, 2025, 03:59 pm

টোকিওর কথা মনে পড়লেই কারও চোখে ভেসে ওঠে নীয়ন আলোয় ঢাকা সুউচ্চ ভবন আর বিশ্ববিখ্যাত বুলেট ট্রেন। অথবা 'আকিরা' আর 'ঘোস্ট ইন দ্য শেল'-এর মতো সিনেমা, যেখানে দেখা মেলে ভবিষ্যতের জাপান—বুদ্ধিমান রোবট আর হোলোগ্রামে ভরা এক শহর।

কিন্তু জাপানের আরেকটি সাধারণ দিক আছে, যা এসব সাইবারপাঙ্ক ছবিতে পাওয়া যাবে না। সেখানে আছে ফ্যাক্স মেশিন, ফ্লপি ডিস্ক আর ব্যক্তিগত কালির 'হানকো' সিল—যন্ত্রপাতি যেগুলো উন্নত দেশগুলোতে বহু বছর আগেই হারিয়ে গেছে, কিন্তু জাপানে এখনও টিকে আছে।

সাধারণ মানুষের জন্য এই প্রযুক্তিগত ধীরগতি ও এর ফলে তৈরি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কখনো বিরক্তিকর, আবার কখনো ভীষণ হতাশাজনক। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী স্থানীয় প্রবাসী গ্রুপে লিখেছেন, 'জাপানি ব্যাংক হলো নরকের দরজা।'  মন্তব্যের ঘরে আরেকজন ব্যঙ্গ করে বলেছেন, 'হয়তো ফ্যাক্স পাঠালে উপকার হবে।'

কোভিড-১৯ মহামারির সময় এই সমস্যার মাত্রা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন জাপান সরকার অদক্ষ ডিজিটাল সরঞ্জাম নিয়ে সারা দেশের সংকট সামলাতে হিমশিম খায়।

পরে তারা এই ব্যবধান কমাতে নানা উদ্যোগ নেয়—ডিজিটাল এজেন্সি গঠনসহ নতুন অনেক পরিকল্পনা চালু করে। কিন্তু এই দৌড়ে তারা এসেছে অনেক দেরিতে—ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব চালুর ৩৬ বছর পর, আর প্রথম ইমেল পাঠানোর অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পরে।

এখন দেশটি যখন দ্রুত রূপান্তরের চেষ্টা করছে, প্রশ্ন হচ্ছে—এত দেরি কেন হলো, আর তারা কি এখনো পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে উঠতে পারবে?

কীভাবে এ অবস্থায় এল

এটা সবসময় এমন ছিল না। ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে জাপান ছিল বিশ্বের প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দু। সনি, টয়োটা, প্যানাসনিক, নিন্টেন্ডোর মতো কোম্পানি বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠে। ওয়াকম্যান, ডনকি কং, মারিও ব্রাদার্সের মতো পণ্য ও গেম এনে দিয়েছিল তারা।

কিন্তু শতকের শুরুর দিকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের উত্থানের সঙ্গে পরিস্থিতি বদলে যায়।

ইউনিভার্সিটি অব টোকিও-র অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও নীতি উদ্ভাবন কর্মসূচির পরিচালক ডাইসুকে কাওয়াই বলেন, 'হার্ডওয়্যারে শক্তিশালী জাপান সফটওয়্যার ও সেবায় অভিযোজনে ধীর ছিল।'

ছবি: কোসুকে ওকাহারা/দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস/রিডাক্স

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ঘাটতি, ইলেকট্রনিক শিল্পের সংকোচন এবং মেধাবী প্রকৌশলীদের বিদেশি কোম্পানিতে চলে যাওয়া—সব মিলে এই সমস্যা বেড়েছে।

ফলে সরকারে তৈরি হয় কম ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন কাঠামো ও দক্ষ প্রযুক্তিকর্মীর অভাব। সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নিজেদের আলাদা আইটি কৌশল নেয়, কিন্তু কোনো ঐক্যবদ্ধ সরকারি উদ্যোগ ছিল না—ফলে জনসেবা আধুনিক হয়নি, কাগুজে নথি ও ব্যক্তিগত পরিচয় 'হানকো' সিলের ওপর নির্ভরতা রয়ে গেছে।

সংস্কৃতিগত প্রভাবও ছিল।

কাওয়াই বলেন, 'জাপানি কোম্পানিগুলো সাধারণত ঝুঁকি নিতে চায় না। এখানে পদোন্নতি হয় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে, রয়েছে কঠোর ঊর্ধ্বতন-অধস্তন ব্যবস্থা, আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া ধীর এবং সবার মতামতের ওপর নির্ভরশীল—এসব কারণে নতুন কিছু চেষ্টা করা কঠিন হয়ে পড়ে।'

তার ওপর, জাপানের জন্মহার এতটাই কম যে দেশে এখন প্রবীণ মানুষের সংখ্যা তরুণদের চেয়ে অনেক বেশি। বয়সী মানুষের সংখ্যাধিক্যের ফলে নতুন প্রযুক্তির প্রতি অনাস্থা, ডিজিটাল প্রতারণার ভয়, হানকোর মতো পুরোনো পদ্ধতির প্রতি টান এবং 'ডিজিটাল সেবার জন্য তেমন চাহিদা বা চাপ না থাকা'—এসবই তৈরি হয়েছে, বলেন কাওয়াই।

এই উদাসীনতা ছিল সর্বত্র, বলেন টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক এমেরিটাস জোনাথন কুপারস্মিথ। ছোট ব্যবসা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউই ফ্যাক্স থেকে কম্পিউটারে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেনি। 'যখন ফ্যাক্স ঠিকঠাক কাজ করছে, আর জাপানে সবাই সেটাই ব্যবহার করছে—তাহলে কেন ব্যয়বহুল নতুন যন্ত্র কিনে সেটি শেখার ঝামেলায় যাব?'—বললেন তিনি।

বড় করপোরেশন ও ব্যাংক, হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও মনে করেছে নতুন করে পরিবর্তন দৈনন্দিন কার্যক্রমে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাবে।

এর সঙ্গে ছিল আইনি জটিলতা। নতুন প্রযুক্তি এলে নতুন আইন লাগে—যেমন বৈদ্যুতিক স্কুটারের জন্য নতুন সড়ক আইন করতে হয়েছে, বা সাম্প্রতিক এআই উত্থানের পর বিশ্বজুড়ে ডিপফেক আর কপিরাইট রক্ষার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে। জাপানকে ডিজিটাল করতে হলে হাজার হাজার বিধি পরিবর্তন করতে হতো বলে কুপারস্মিথের ধারণা—কিন্তু আইনপ্রণেতাদের এতে আগ্রহ ছিল না। তাছাড়া, ডিজিটালাইজেশন ভোটের জন্যও বড় কোনো ইস্যু নয়।

তিনি সংক্ষেপে বললেন, 'আমার দরকার না হলে কেন আমি ডিজিটাল দুনিয়ার অংশ হব?'

মহামারির ধাক্কা

ফলাফল হলো—দশকের পর দশক ধরে জাপান অন্য ক্ষেত্রে এগোলেও প্রযুক্তির পুরনো ধাঁচে আটকে রইল, যা এক ধরনের চরম বৈপরীত্য তৈরি করল।

জাপানের বিশ্বমানের রোবোটিকস আর মহাকাশ শিল্প আছে, আছে এমন সব দৈনন্দিন সুবিধা যা বিদেশি পর্যটকদের বিস্মিত করে—নিরাপদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পাবলিক স্পেস, সর্বত্র ভেন্ডিং মেশিন ও কনভিনিয়েন্স স্টোর, সহজলভ্য গণপরিবহন আর বিস্তৃত বুলেট ট্রেন নেটওয়ার্ক।

এগুলোর বিপরীতে দেশটির ডিজিটাল দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

২০১৮ সালে জাপানের তৎকালীন সাইবার সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্ষোভ ও অবিশ্বাসের জন্ম দেন যখন তিনি বলেন, তিনি কখনো কম্পিউটার ব্যবহার করেননি—কারণ 'এসব কাজ' তার সচিবরা করত। পরে অবশ্য কয়েক দিন পর তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।

এমনকি ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাপানে পেজার চালু ছিল—যদিও বিশ্বে মোবাইল ফোন আসার পর দশকখানেক আগেই এই ডিভাইস অচল হয়ে গিয়েছিল।

পুরোনো প্রযুক্তির এই উপস্থিতি জটিল আমলাতন্ত্রও তৈরি করেছে। কাওয়াই বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা বাসা ভাড়া নিবন্ধনের জন্য লাগতে পারে হানকো সিল, সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের কাগজপত্র, যা নিতে হলে সরাসরি স্থানীয় কাউন্সিল অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হয়।

অবশেষে, বিশ্বব্যাপী মহামারি এই পরিবর্তন চাপিয়ে দেয়। জাতীয় ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জটিলতায় পড়ে যায়, কারণ প্রক্রিয়া সহজ করার মতো ডিজিটাল সরঞ্জাম ছিল না।

হানকো সিল। ছবি: কুনিহিকো মিউরা/এপি

২০২০ সালের মে মাসে—যখন ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে—জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনলাইনে হাসপাতালের রোগীর তথ্য নেওয়া শুরু করে। এর আগে পর্যন্ত তারা হাতে লেখা ফ্যাক্স, ফোনকল বা ই-মেইলের ওপর নির্ভর করত।

তবুও সমস্যা থেকে যায়। একটি 'কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপে' মাসের পর মাস ত্রুটি ছিল, যা সম্ভাব্য সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়। দূরশিক্ষা ও দূর-অফিসে [রিমোট অফিস] মানিয়ে নেওয়াও কঠিন হয়, কারণ অনেকেই আগে কখনো ফাইল শেয়ারিং সার্ভিস বা জুমের মতো ভিডিও টুল ব্যবহার করেননি।

২০২২ সালে এক অবিশ্বাস্য ঘটনায় একটি শহর তার কোভিড ত্রাণ তহবিলের পুরো ৪ কোটি ৬৩ লাখ ইয়েন (প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার) ভুল করে এক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। বিভ্রান্তি তৈরি হয় কারণ ব্যাংককে দেওয়া হয়েছিল তথ্যের একটি ফ্লপি ডিস্ক ও কাগুজে ফর্ম—কিন্তু ভুল ধরা পড়ার আগেই ওই ব্যক্তি বেশিরভাগ অর্থ জুয়ায় খুইয়ে ফেলেন।

ফ্লপি ডিস্ক হলো প্লাস্টিকে মোড়ানো একটি চুম্বকীয় মেমোরি ডিভাইস, যা কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয়। এক একটি ডিস্ক সাধারণত ১ দশমিক ৪৪ মেগাবাইট তথ্য ধারণ করে—যা আপনার আইফোনের একটি মাঝারি রেজোলিউশনের ছবির থেকেও কম।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে ২০২১ সালে নবনিযুক্ত 'ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন' মন্ত্রী তাকুয়া হিরাই এই অবস্থাকে 'ডিজিটাল পরাজয়' বলে আখ্যা দেন।

এভাবেই জন্ম নেয় ডিজিটাল এজেন্সি—একটি বিভাগ যা জাপানকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিতে কাজ করবে। এটি তৈরি হয়েছিল 'ভয়ের সঙ্গে সুযোগের মিশ্রণ থেকে', বলে মনে করেন কুপারস্মিথ।

২০২১ সালে তৈরি হওয়ার পর, তারা জাপানের সামাজিক নিরাপত্তা কার্ডের স্মার্ট ভার্সন চালু করে এবং আরও ক্লাউডভিত্তিক সেবা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

গত জুলাইয়ে, ডিজিটাল এজেন্সি 'ফ্লপি ডিস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়' ঘোষণা করে—সরকারি সব জায়গা থেকে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। এই বিশাল কাজের জন্য এক হাজারের বেশি নিয়ম বদলাতে হয়েছে।

কিন্তু এগোতে গিয়েও সমস্যা হয়। একবার সরকার মেটাভার্স নিয়ে জনমত জানতে চায়—কিন্তু সেই প্রক্রিয়া এত জটিল ছিল যে, মানুষের এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করে তাদের তথ্য পূরণ করে মন্ত্রণালয়ে ই-মেইল পাঠাতে হয়। 

এরপর সামাজিক মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হওয়ার পর, তখনকার ডিজিটাল মন্ত্রী তারো কোনো টুইট করেন, 'এখন থেকে মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে অনলাইন ফরম ব্যবহার করে মতামত নেবে।'

ডিজিটাল রূপান্তর

সরকার ডিজিটাল পরিবর্তনের পথে দৃঢ় অগ্রসর হওয়ায়, অনেক প্রতিষ্ঠানও দ্রুত এগোতে শুরু করেছে। তারা অনেকেই বাহ্যিক পরামর্শদাতা ও কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে নিজেদের পুরনো সিস্টেম বদলাতে চাচ্ছে, জানালেন কাওয়াই।

মাসাহিরো গোটো, নোমুরা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিজিটাল রূপান্তর দলের একজন কনসালট্যান্ট, বলেন যে দেশের বড় বড় কোম্পানি এখন ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তাদের সাহায্য নিচ্ছে। নতুন ব্যবসায়িক মডেল তৈরি থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি উন্নয়নে তারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে।

গোটো সিএনএনকে বলেন, 'অনেক প্রতিষ্ঠান এগোতে চায়, কিন্তু কীভাবে শুরু করবে তা নিয়ে অনিশ্চিত। অনেকেরই পুরনো সিস্টেম রয়েছে, যা রক্ষণাবেক্ষণে কঠিন, আবার কিছু সিস্টেম শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে। তখনই তারা আমাদের কাছে আসে সাহায্যের জন্য।'

গত পাঁচ বছরে এনআরআই-এর পরামর্শদাতাদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে, কারণ বহু জাপানি কোম্পানি তাদের আইটি কাজ বহিরাগতদের ওপর নির্ভর করতো, যার ফলে নিজস্ব দক্ষতার অভাব রয়েছে।

টোকিওর ওমোটেসান্দো এলাকায় একটি দোকানের বাইরে ক্যাশলেস পেমেন্টের সাইন দেখা যায়।

গোটো বলেন, 'তারা মূলত তাদের কাজের গতি ও দক্ষতা বাড়াতে চায়। আমার মনে হয়, ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণকে তারা বেঁচে থাকার জন্য জরুরি মনে করছে। কারণ, জাপানের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাই উৎপাদনশীলতা বাড়ানো বাধ্যতামূলক।'

তবে বাধাও আছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালে সরকারের মধ্যে ফ্যাক্স মেশিন বন্ধ করার পরিকল্পনায় নানা মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৪০০টি আপত্তি উঠেছিল। 

এছাড়া হানকো সিলের মতো ঐতিহ্যবাহী বস্তু যা পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ধীরে ধীরে বাদ দেওয়া সহজ হবে না। অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে পূর্ণবয়স্ক হওয়ার সময় এই সিল উপহার দেন।

কাওয়াই মনে করেন, ডিজিটাল অগ্রগতি কত দ্রুত হবে তা নির্ভর করবে কতটা দ্রুত সরকার নিয়ম-কানুন সংস্কারে এগোয় এবং আইনপ্রণেতারা বাজেটে কতটা অগ্রাধিকার দেয় তার ওপর। তাছাড়া, অন্য দেশগুলো দ্রুত নতুন প্রযুক্তিতে এগোচ্ছে, তাই জাপানকে পিছিয়ে পড়া কমাতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুপারস্মিথ বলেন, 'এটা চলমান চ্যালেঞ্জ, কারণ ২০২৫ সালের প্রযুক্তি ২০৩০ কিংবা ২০৩৫ সালের প্রযুক্তির থেকে অনেক ভিন্ন হবে।'

তবুও বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী। কাওয়াই মনে করেন, এই গতি বজায় থাকলে পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে জাপান পশ্চিমা দেশের কিছু অংশের সাথে সমান জায়গায় দাঁড়াতে পারবে।

সবশেষে, সাধারণ মানুষও ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী। আরও বেশি ব্যবসা এখন ক্যাশলেস পেমেন্ট গ্রহণ করছে এবং নতুন অনলাইন সেবা চালু করছে।

কাওয়াই বলেন, 'মানুষ সাধারণত দ্রুত ডিজিটাল হতে চায়। তরুণ সমাজ বা সাধারণ জনগণ যত দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন চায়, এটা আমি নিশ্চিত।'

Related Topics

টপ নিউজ

জাপান / টেক জায়ান্ট / প্রযুক্তি / পুরনো প্রযুক্তি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বাংলাদেশে চাল রপ্তানির হিড়িক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের; ভারতে দাম বাড়ল ১৪ শতাংশ পর্যন্ত
  • ৪০০ বছরের পুরনো এই চীনা কাশির সিরাপ যেভাবে এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়; প্রশংসায় পশ্চিমা তারকারা
  • চাকরির সংকট: বেকারত্ব লুকাতে নিজ পকেটের টাকা ঢেলেই অফিসে কাজের ভান করছেন চীনা তরুণরা
  • রাশিয়া কেন আলাস্কাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করেছিল?
  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭,৪০৯ শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার
  • ৫ আগস্টের স্থবিরতার পর রাজশাহী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে নতুন গতি

Related News

  • জাপানে একই প্রতিযোগিতায় পৃথক লড়াইয়ে মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে ২ বক্সারের মৃত্যু
  • ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কায় টয়োটার মুনাফা কমার পূর্বাভাস, ৯.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা
  • শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রাশিয়া-জাপান-যুক্তরাষ্ট্রে সুনামির আঘাত
  • রুশ উপকূলে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প; জাপান-রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রে সুনামি সতর্কতা জারি, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের
  • জালিয়াতির মামলায় দীর্ঘসূত্রতা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ স্থগিতের চিন্তা জাপানি প্রতিষ্ঠানের

Most Read

1
বাংলাদেশ

বাংলাদেশে চাল রপ্তানির হিড়িক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের; ভারতে দাম বাড়ল ১৪ শতাংশ পর্যন্ত

2
আন্তর্জাতিক

৪০০ বছরের পুরনো এই চীনা কাশির সিরাপ যেভাবে এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়; প্রশংসায় পশ্চিমা তারকারা

3
আন্তর্জাতিক

চাকরির সংকট: বেকারত্ব লুকাতে নিজ পকেটের টাকা ঢেলেই অফিসে কাজের ভান করছেন চীনা তরুণরা

4
আন্তর্জাতিক

রাশিয়া কেন আলাস্কাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করেছিল?

5
বাংলাদেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭,৪০৯ শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার

6
বাংলাদেশ

৫ আগস্টের স্থবিরতার পর রাজশাহী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে নতুন গতি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net