Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Friday
August 08, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
FRIDAY, AUGUST 08, 2025
রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপে তলানিতে ট্রাম্প-মোদি সম্পর্ক

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
07 August, 2025, 10:15 am
Last modified: 07 August, 2025, 10:18 am

Related News

  • ভারতের ৫০% শুল্ক: পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি ও চীন-ভারত থেকে বিনিয়োগ আসার সুযোগ দেখছেন রপ্তানিকারকরা
  • যুক্তরাষ্ট্র-ভারত 'তেলযুদ্ধে' জড়ালে চীনের লাভ যেভাবে
  • ট্রাম্পের নতুন শুল্ক এখন থেকে কার্যকর; এর প্রভাব নিয়ে যা যা জানা প্রয়োজন
  • অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, ভুল বোঝাবুঝি: যেসব কারণে ভেস্তে গেল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা
  • মার্কিন শুল্ক শঙ্কায় জুলাইয়ে কার্গো পরিবহন বৃদ্ধি, যানজটে অচলাবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপে তলানিতে ট্রাম্প-মোদি সম্পর্ক

রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে বুধবার (৬ আগস্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। দিল্লি এই সিদ্ধান্তকে বলেছে, ‘অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’।
টিবিএস ডেস্ক
07 August, 2025, 10:15 am
Last modified: 07 August, 2025, 10:18 am
ছবি: রয়টার্স

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন বিশ্বের প্রথম কয়েকজন নেতার একজন, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ওয়াশিংটন সফর করেন। সেখানে ট্রাম্প মোদিকে বলেন 'প্রিয় বন্ধু'। দুই দেশ ঘোষণা দেয়, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে। খবর বিবিসি'র।

কিন্তু এই সফরের ছয় মাসও পেরোয়নি, সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে ট্রাম্প এখন মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এছাড়া, ভারত ব্রিকস সদস্য হওয়ার কারণে আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি আগেই দিয়েছিলেন তিনি। ওই জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলো চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথমে ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক বসান। পরে, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনার 'শাস্তি' হিসেবে বুধবার (৬ আগস্ট) তিনি আরও ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। দিল্লি এই সিদ্ধান্তকে বলেছে, 'অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য'।

এদিকে, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে বলেছেন 'মৃত'।

গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে দুই দেশের সরকার, দুই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কারণে যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে, তার এমন নাটকীয় পতন অভূতপূর্ব।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওয়াশিংটন ও দিল্লির পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, হয়তো শিগগিরই একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। এখন সেই সম্ভাবনাও ম্লান হয়ে এসেছে, অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। তাহলে হঠাৎ কী হলো?

বিশ্লেষকদের মতে, একের পর এক ভুল পদক্ষেপ, রাজনৈতিক কৌশল, ভূরাজনীতি ও দেশের ভেতরের চাপ মিলিয়ে এই চুক্তি ভেস্তে যেতে বসেছে।

এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের আক্রমণের জবাবে ভারত তুলনামূলক সংযত রয়েছে। তারা এখনো কূটনৈতিক পথে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানের আশা করছে। কিন্তু ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের কোনো নিশ্চয়তা নেই।

রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখলে ভারতের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি অনেকদিন থেকেই দিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প। ছবি: ব্লুমবার্গ

ট্রাম্প এমন অনেক বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, যা দিল্লির কাছে সংবেদনশীল। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, তিনি বারবার ভারত ও পাকিস্তানকে এক কাতারে তুলনা করছেন। ভারতের জন্য এটি 'রেড লাইন'।

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার পরপরই পাকিস্তানি সেনাপ্রধান অসীম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান ট্রাম্প।

এর কিছুদিন পরই ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করেন এবং দেশটিকে ১৯ শতাংশ হারে বিশেষ শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পাকিস্তানের তেল অনুসন্ধানের বিষয়েও একটি চুক্তি হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমনও বলেন, 'একদিন পাকিস্তান হয়তো ভারতকে তেল রপ্তানি করবে।'

ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই নাকি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে। এটাও ভারতের জন্য আরেকটি বড় অস্বস্তির বিষয়।

কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বিবেচনা করে দেশটি সবসময় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে এসেছে। বিশ্বের অধিকাংশ নেতাও এই অবস্থানকে সম্মান করেছেন, এমনকি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালেও। কিন্তু এখন তা বদলে গেছে।

মোদি ভারতের পার্লামেন্টে স্পষ্টভাবে বলেন, 'কোনো দেশ এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেনি।' যদিও তিনি ট্রাম্প বা যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেননি, তবে দেশজুড়ে চাপ বাড়ছে—মোদি যেন হোয়াইট হাউসের কাছে নতিস্বীকার না করেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, 'যে সময়টায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ইসলামাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ করছে, তা দিল্লি এবং ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। এতে ভারতের মধ্যে একটি উদ্বেগ আরও তীব্র হয়েছে—যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে কতটা বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার?'

তিনি আরও বলেন, দিল্লির এই ক্ষোভের পেছনে হয়তো 'কোল্ড ওয়ারের' সময়কার মানসিকতার প্রভাব রয়েছে, তবে এবারের ক্ষোভ বাস্তব পরিস্থিতিতেও ঘনীভূত হচ্ছে।

মোদির সরকার বরাবরই জাতীয়তাবাদী ইস্যুতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই তার সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রকে দৃঢ় অবস্থান দেখানোর আশা করছে।

এখন দিল্লি এক ধরনের জটিল পরিস্থিতির মুখে—একদিকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি চায়, অন্যদিকে আবার ট্রাম্পের চাপের কাছে মাথা নত করতেও চায় না।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে অসন্তোষ জানানোর পর দিল্লি পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছে, তারা 'জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে'।

তবে প্রশ্ন উঠেছে—যে ট্রাম্প একসময় ভারতের আতিথেয়তার প্রশংসা করেছিলেন এবং দেশটিকে 'মহান' বলেছিলেন, সেই তিনিই এখন কেন একজন বিশ্বস্ত মিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিচ্ছেন?

কয়েকজন বিশ্লেষক মনে করছেন, এটা চুক্তি আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জিতেন্দ্র নাথ মিশ্র বলেন, 'ট্রাম্প একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং দক্ষ আলোচক। তার কৌশল কূটনৈতিক না-ও হতে পারে, কিন্তু তিনি সেই ফলাফলই চান যেটা কূটনীতিকরা চায়। কাজেই তিনি যা করছেন, তা মূলত একটা আলোচনার কৌশল।'

ভারত সরকারের সূত্র বলেছে, দিল্লি যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক ছাড় দিয়েছে—শিল্পপণ্যে শূন্য শুল্ক, গাড়ি ও মদে ধাপে ধাপে শুল্ক হ্রাস, এমনকি ইলন মাস্কের স্টারলিংককে ভারতে কার্যক্রম চালাতে অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষি ও ডেইরি খাতে প্রবেশাধিকার চায়, যাতে তারা দিল্লির সঙ্গে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারে।

নরেন্দ্র মোদির জন্য, কিংবা যে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যই কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতগুলো একটি 'রেড লাইন'। ভারতে মোট কর্মসংস্থানের ৪৫ শতাংশের বেশি এই খাতের ওপর নির্ভরশীল। তাই সব সরকারই কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

ভারতের চোখে রাশিয়া হলো ‘সব সময়ের বন্ধু’। অতীতের নানা সংকটে মস্কো ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছবি: রয়টার্স

ওয়াশিংটনের দাবির মুখে ভারত যে সহজে মাথা নোয়াবে না, তা মনে করেন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান।

তিনি বলেন, 'ভারতের আগে নিজ জনগণের ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে এবং স্পষ্ট জানাতে হবে, তারা বাইরের চাপের কাছে মাথা নত করবে না। এটা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

কুগেলম্যানের মতে, মস্কো থেকে তেল আমদানি বন্ধে ট্রাম্পের চাপ দেওয়ার পেছনে মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর তার ক্ষোভই বড় কারণ।

তিনি বলেন, 'ট্রাম্প ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছেন। তিনি রাশিয়ার প্রধান তেল ক্রেতাদের শাস্তি দিয়ে মস্কোকে বিশ্ববাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছেন।'

তবে হঠাৎ করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলছে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেলের ভোক্তা এবং দ্রুত বর্ধনশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণির কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে চীনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

২০২১-২২ সালে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির হার ১ শতাংশেরও কম ছিল। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশের ওপরে।

পশ্চিমা বিশ্বের অনেকেই বলছেন, এতে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় পরোক্ষভাবে অর্থ সহায়তা করছে ভারত। তবে দিল্লি তা অস্বীকার করছে। তাদের বক্তব্য, রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনে কোটি কোটি ভারতীয়র জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ভারতের চোখে রাশিয়া হলো 'সব সময়ের বন্ধু'। অতীতের নানা সংকটে মস্কো ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সাধারণ জনগণের মধ্যেও রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতি রয়েছে।

এ ছাড়া রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। যদিও ২০১৬-২০ সময়ে ভারতের মোট অস্ত্র আমদানির ৫৫ শতাংশ রাশিয়া থেকে এলেও ২০২০-২৫ সময়কালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশে। এই হ্রাসের পেছনে ভারতের নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানো এবং যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইসরায়েল থেকে আরও বেশি অস্ত্র কেনার বিষয়টি ভূমিকা রেখেছে।

তবু ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে রাশিয়ার গুরুত্ব এখনও অনেক বেশি। এতদিন পশ্চিমা দেশগুলোও তা বুঝে আসছিল এবং এই ইস্যুতে ভারতকে চাপে ফেলেনি। তবে ট্রাম্প এসে সেই রীতিরও ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন।

এতদিন পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেও পশ্চিমা দেশের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে পেরেছিল ভারত। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এই ঘনিষ্ঠতা সহ্য করেছিল।

চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র—ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, উভয় দলই তাই ভারতকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।

রাশিয়া যদিও এতে মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়েছে, তবে ভারতের ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তেমন কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

গত মাসে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। ছবি: নাসা

কিন্তু এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই ভারসাম্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এখন ভারতের প্রতিক্রিয়াই নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কোন পথে এগোবে।

ভারত এখন পর্যন্ত সতর্কভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তবে একেবারে চুপও থাকেনি। নয়াদিল্লি জানায়, বিশ্ব জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রই রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছিল।

তারা এটাও বলেছে, শুধুমাত্র ভারতকে টার্গেট করা অযৌক্তিক, কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও রাশিয়া থেকে জ্বালানি, সার, খনিজ এবং রাসায়নিক পণ্য কিনছে।

সবকিছু খারাপের দিকে গেলেও বিশ্লেষকদের মতে, এখনও সব হারিয়ে যায়নি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিক খাতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, যা হঠাৎ করে ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়।

দুই দেশের মধ্যে মহাকাশ প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা রয়েছে।

ভারতের বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। একইভাবে সিলিকন ভ্যালির প্রায় সব বড় কোম্পানির ভারতেও কার্যক্রম রয়েছে।

অধ্যাপক জিতেন্দ্র নাথ মিশ্র বলেন, 'এই সম্পর্কের ভিত্তি শক্ত। মজার বিষয় হলো, যেদিন ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক আর নানা শাস্তির হুমকি দেন, সেদিনই ভারতীয় রকেটে মহাকাশে পাঠানো হয় যৌথভাবে তৈরি করা এক স্যাটেলাইট।'

তিনি মনে করেন, এই সম্পর্কের মৌলিক কাঠামো এখনও অটুট।

কুগেলম্যান বলেন, 'ট্রাম্প তার বৈদেশিক নীতিতে নির্দ্বিধায় লেনদেনকেন্দ্রিক এবং বাণিজ্যিক মনোভাব দেখান। তাই ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতকেও চাপে ফেলতে তার কোনো আপত্তি নেই।'

তবে তিনি এটাও বলেন, গত দুই দশকে যে বিশ্বাস গড়ে উঠেছে, তা একেবারে হারিয়ে যায়নি। তিনি বলেন, 'তবে সম্পর্কের যে ক্ষয় দেখা দিয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।'

Related Topics

টপ নিউজ

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক / ট্রাম্প-মোদি সম্পর্ক / ডোনাল্ড ট্রাম্প / নরেন্দ্র মোদি / মার্কিন শুল্ক / রুশ তেল / ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ২ কোটি ডলারের জাপানি বিনিয়োগ চুক্তিতে লাইফলাইন পাচ্ছে বেক্সিমকো টেক্সটাইল
  • পুরান ঢাকাকে যুক্ত করতে এই প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়নে আসছে বিশ্বব্যাংক
  • ‘দয়া করে আমাকে রিমান্ডে দিয়েন না’: আদালতকে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া 
  • ঢাকা বিমানবন্দরের ‘নো ফ্লাই জোনে’ অনুমোদনবিহীন ৫২৫ উঁচু ভবন, ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের: সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান
  • ২ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১,৫০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে ইসলামী ব্যাংক
  • কবরেও একা যেতে হবে, দুর্নীতি করলে জেলখানায়ও একা যেতে হবে: কলিমউল্লাহকে বিচারক

Related News

  • ভারতের ৫০% শুল্ক: পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি ও চীন-ভারত থেকে বিনিয়োগ আসার সুযোগ দেখছেন রপ্তানিকারকরা
  • যুক্তরাষ্ট্র-ভারত 'তেলযুদ্ধে' জড়ালে চীনের লাভ যেভাবে
  • ট্রাম্পের নতুন শুল্ক এখন থেকে কার্যকর; এর প্রভাব নিয়ে যা যা জানা প্রয়োজন
  • অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, ভুল বোঝাবুঝি: যেসব কারণে ভেস্তে গেল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা
  • মার্কিন শুল্ক শঙ্কায় জুলাইয়ে কার্গো পরিবহন বৃদ্ধি, যানজটে অচলাবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

Most Read

1
অর্থনীতি

২ কোটি ডলারের জাপানি বিনিয়োগ চুক্তিতে লাইফলাইন পাচ্ছে বেক্সিমকো টেক্সটাইল

2
বাংলাদেশ

পুরান ঢাকাকে যুক্ত করতে এই প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়নে আসছে বিশ্বব্যাংক

3
বাংলাদেশ

‘দয়া করে আমাকে রিমান্ডে দিয়েন না’: আদালতকে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া 

4
বাংলাদেশ

ঢাকা বিমানবন্দরের ‘নো ফ্লাই জোনে’ অনুমোদনবিহীন ৫২৫ উঁচু ভবন, ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের: সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান

5
অর্থনীতি

২ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১,৫০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে ইসলামী ব্যাংক

6
বাংলাদেশ

কবরেও একা যেতে হবে, দুর্নীতি করলে জেলখানায়ও একা যেতে হবে: কলিমউল্লাহকে বিচারক

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net