প্রথমবারের মতো অনুমোদন পেল শিশুদের ম্যালেরিয়া চিকিৎসার ওষুধ

ছোট শিশু ও নবজাতকদের ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য ওষুধ প্রথমবারের মতো অনুমোদন পেয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ওষুধের ব্যবহার চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি'র।
এতোদিন পর্যন্ত ছোট শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ম্যালেরিয়া ওষুধের অনুমোদন ছিল না। ফলে বড় শিশুদের জন্য তৈরি ওষুধ দিয়েই চলতো চিকিৎসা; কিন্তু এতে ওভারডোজ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যেত।
২০২৩ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা যায়, সে বছর ম্যালেরিয়া-জনিত কারণে প্রায় ৫৯৭,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর প্রায় সবই ঘটেছে আফ্রিকায়, যার মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ছিল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়ার ওষুধ থাকলেও এতদিন পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কেজি বা ১০ পাউন্ডের কম ওজনের নবজাতক ও খুব ছোট শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ছিল না।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভার্টিসের তৈরি নতুন একটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে সুইস কর্তৃপক্ষ, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চল ও দেশে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নোভার্টিস জানিয়েছে, তারা নতুন ওষুধটি প্রায় অলাভজনক ভিত্তিতে বাজারে আনবে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ভাস নারাসিমহান এ উদ্যোগকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে নবজাতক ও ছোট শিশুদের জন্য প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নয়ন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এখন সবচেয়ে ছোট ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুটিও উপযুক্ত চিকিৎসা ও যত্ন পাওয়ার সুযোগ পাবে।"
'কোআরটেম বেবি' বা কিছু দেশে 'রিয়ামেট বেবি' নামে পরিচিত ওষুধটি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা মেডিসিনস ফর ম্যালেরিয়া ভেঞ্চার (এমএমভি)–এর সহযোগিতায় উন্নয়ন করেছে নোভার্টিস। এমএমভি প্রাথমিকভাবে অর্থায়ন পেয়েছে ব্রিটিশ, সুইস ও ডাচ সরকার, বিশ্ব ব্যাংক এবং রকফেলার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
এই ওষুধের মূল্যায়ন (এসেসমেন্ট) ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আফ্রিকার আটটি দেশ অংশ নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব দেশই ওষুধটি প্রথমে ব্যবহার করা হবে।