গুগল ম্যাপসে ভুল নির্দেশিকা, জার্মানির অটোবানে ভোগান্তি অসংখ্য মানুষের

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট, হামবুর্গ ও বার্লিনের মতো বড় বড় শহরের অটোবান (সড়ক) দিয়ে যখন অসংখ্য মানুষ নিজেদের গন্তব্যের দিকে ছুটছিলেন, ঠিক তখন গুগল ম্যাপসে দেখা গেল সামনের অনেকগুলো সড়কে 'স্টপ' চিহ্ন বা নির্দেশিকা। অর্থাৎ ওইসব সড়ক বন্ধ।
সড়ক বন্ধ দেখে অনেকেই বিকল্প পথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। এতে ওইসব সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন তারা। পরে অবশ্য জানা গেল, গুগল ম্যাপসের দেখানো সংকেতটি আসলে সঠিক ছিল না।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। দিনটি ছিল ছুটির দিন। তাই সড়কে মানুষের আনাগোনাও ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি। ফলে বহু মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হন। বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের কিছু শহরেও গুগল ম্যাপস এমন ভুল সংকেত দেখিয়েছে বলে জানা গেছে।
সে সময় যারা গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে পথ চলছিলেন, তারা বেশ বিপাকে পড়েন। তারা ভেবেছিলেন, জার্মানির অনেক জায়গায় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
ম্যাপে রাস্তা বন্ধ দেখে অনেকেই বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে যানজটে পড়েন। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশ সময়ও লেগে যায় তাদের। বহু গাড়িচালক এ সময় পুলিশের কাছে ফোন করে সহযোগিতা চান।
তবে ওই সময় যারা অ্যাপল ম্যাপস, ওয়েজ-এর মতো বিকল্প অ্যাপ ব্যবহার করেছিলেন কিংবা রেডিওতে ট্রাফিক সংবাদ শুনেছেন, তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি দেখেছেন—প্রকৃতপক্ষে ওইসব সড়কগুলোর বেশিরভাগই ছিল ফাঁকা।
এ নিয়ে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লোকেরা তাদের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কেউ আবার এ নিয়ে মজাও করেছেন। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, 'ওরা কি সব অটোবানই বন্ধ করে দিয়েছে?'
কিছু লোক মনে করেছিলেন, এটি বড় ধরনের কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম হতে পারে। আবার কেউ কেউ ভেবেছেন, হয়তো এটা সার্ভার হ্যাকের মতো কোনো ঘটনা।
তবে যে যা-ই ভাবুক বা বলুক, এ সমস্যার আসল কারণ এখনো জানা যায়নি।
গুগলের এক মুখপাত্র জার্মান গণমাধ্যমকে জানান, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পরপরই তারা সেটি সংশোধন করেছে।
তিনি বলেন, আসলে ঠিক কেন এমনটা হয়েছে, সেটি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। গুগল বিভিন্ন কোম্পানি, পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ম্যাপের তথ্য পেয়ে থাকে। ম্যাপের তথ্য সব সময় আপডেট হয়, তবে কখনও কখনও এতে সময় লাগে।