বিশ্বের উঁচু ১০০ সেতুর অর্ধেকই চীনের এ প্রদেশে, এখন নির্মিত হচ্ছে সবচেয়ে উঁচুটি

চীনের গুইঝো প্রদেশে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থান করা সেতুর। ইতোমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে সুউচ্চ ১০০ সেতুর অর্ধেকই রয়েছে চীনের গুইঝোতে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর নতুন ভ্রমণ বিষয়ক সিরিজে এ সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা, উঁচু, বৃহত্তর ও বড় নতুন রেকর্ড-ভাঙা কিছু প্রকল্প এবং প্রচেষ্টার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চীনে উদ্বোধন হতে যাওয়া সুউচ্চ সেতুটির নাম হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ। ব্রিজটি নদীর স্তর থেকে ২,০৫১ ফুট (৬২৫ মিটার) উঁচুতে অবস্থিত। এটি বর্তমানে সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করা ফ্রান্সের মিলাউ ভায়াডাক্টের চেয়ে ৯৪৭ ফুট বেশি উঁচুতে অবস্থান করছে।
চীন বলছে, তাদের নতুন এই সেতুটি গিরিখাতের উপর দিয়ে ভ্রমণের সময় দুই ঘণ্টা থেকে কমিয়ে এক মিনিটে নিয়ে আসবে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের পানশালা লেভেল থ্রি থ্রি গত মাসে একটি ভবনের অভ্যন্তরে বিশ্বের উচ্চতম মাইক্রোব্রিউয়ারি (ছোট আকারের বিয়ার তৈরির কারখানা) হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।
এ বিয়ার তৈরির সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে: ১২টি ট্যাংক, দুটি তামার ব্রিউহাউস কেটলি এবং একটি কুলিং মেশিন। একটি ক্রেনের সাহায্যে বিয়ার তৈরির এসব সরঞ্জাম সিঙ্গাপুরের মেরিনা বের ফিনান্সিয়াল সেন্টার টাওয়ারের ৩৩তম তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অতিথিদের জন্য সিঙ্গাপুরের আকাশ দেখতে দেখতে বিয়ার খাওয়ার বিলাসিতার কাছে এর মূল্য যৌক্তিকই বলা যায়।
অপরদিকে ফিলিপাইনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতির জন্য অদ্ভুত এক সুউচ্চ ভবনের খোঁজ পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনের দাবি, ভবনটি সবচেয়ে উঁচু মুরগির আকৃতির ভবন।
ভবনটি একটি হোটেল। তবে আপনার যদি জানালা না থাকা নিয়ে সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১১৪ ফুট উঁচু পাখির ভাস্কর্যটি পছন্দ হবে।
এছাড়া ডিজনির সবচেয়ে বড় ক্রুজ জাহাজটি এই বছরের শেষের দিকে তার প্রথম সমুদ্রযাত্রা শুরু করবে।
প্রথমবারের মতো এশিয়ায় এমন ৬ হাজার যাত্রীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ক্রুজ শিপের হোম পোর্ট স্থাপন করা হয়েছে। তাই ডিজনি অ্যাডভেঞ্চার নামের এ ক্রুজ শিপটিতে ভ্রমণ করতে হলে আমেরিকানদের দীর্ঘ আকাশপথ পাড়ি দিয়ে আসতে হবে।
এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পার্কের স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। জাপানের টোকিও থেকে প্রায় ৬৮ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত নাগাইজুমিতে ওই ছোট পার্কের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই পার্কটি মাত্র ২.৬ বর্গফুট আকারের। এর মধ্যে রয়েছে একটি ছোট টুল ও সবুজ ঘাসে ঘেরা মাঠ।
সবশেষে দুটি অবিশ্বাস্য অভিযান:
সৌদি আরবে বদর আল শাইবানি বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় এলাকা এম্পেটি কোয়ার্টার বা রব আল খালির ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মাইল) এলাকা একাই ট্র্যাকিং করেছেন।
অপরদিকে আরেক ব্যক্তির ঘটনা শুনে মনে হবে, তিনি খুবই তৃষ্ণার্ত তবে মদের। কোল ডাল্টন নামে এক আইরিশ ব্যক্তি বিশ্বের সব আইরিশ মদের দোকান (পাব) ঘুরে দেখার লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে ৪৭টি দেশের পাব পরিদর্শন করেছেন।