পহেলগামের হামলায় জড়িতদের পরিচয় জানাল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের নাম ও স্কেচ (হাতে আঁকা ছবি) বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। তাদের অধিকাংশই ভারতীয় পর্যটক এবং একজন নেপালি নাগরিক। হামলার দায় স্বীকার করেছে 'রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট', যা পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি উপত্যকায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে আনন্তনাগের আদিল হুসেন থোকার, হাসিম মুসা ওরফে সুলেইমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই। ওই তিনজনের সন্ধান দিতে পারলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন, বুধবার, তদন্তে সহায়তা করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) একটি দল। উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে দলটি বেইসরান এলাকা পরিদর্শন করে, যেখানে পর্যটকদের একটি দলকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই এলাকা পহেলগাম শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
'হিন্দুস্তান টাইমস'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচজন জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে তদন্তকারীরা। এদের মধ্যে তিনজন পাকিস্তানি এবং দুজন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে এক ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী ও তাদের মদতদাতাকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে। তিনি আরও বলেন, 'আমি গোটা বিশ্বকে বলছি—ভারত কাউকে ছাড়বে না।'
সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন ডেকা এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র')-এর প্রধান রবি সিনহা।
সাম্প্রতিক হামলার জেরে কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।