ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৭টি 'নতুন ও সুন্দর' যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল: ট্রাম্প
গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সংক্ষিপ্ত আকাশযুদ্ধে সাতটি 'নতুন ও সুন্দর' যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়, এমনটা দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার হুমকিতেই দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে চার দিনের সামরিক উত্তেজনা শেষ হয় বলে দাবি করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, 'ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। সাতটি একেবারে নতুন, সুন্দর বিমান ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন আমি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (শেহবাজ শরিফ), আর ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে বলেছিলাম—'আপনারা যদি লড়াই চালিয়ে যান, আমরা আপনাদের সাথে কোনো বাণিজ্য করব না।'
গত মে মাসের ৭ তারিখ রাতে সংঘটিত ওই আকাশযুদ্ধ ঘণ্টাখানেক স্থায়ী হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে দুই দেশের প্রায় ১১০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যা সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত। পাকিস্তান দাবি করে, তারা ছয়টি ভারতীয় বিমান, এর মধ্যে একটি ফরাসি তৈরি রাফালও ধ্বংস করেছে। ভারত ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিলের এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দশকের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সামরিক সংঘাত শুরু হয়েছিল। নয়াদিল্লি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়।
ট্রাম্পের দাবি, ১০ মে তিনি দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে ভূমিকা রাখেন। তার মতে, বাণিজ্য স্থগিতের হুমকিই ছিল শান্তি ফিরিয়ে আনার '৭০ শতাংশ কারণ'। তিনি আরও বলেন, তার এই নীতিই আজারবাইজান-আর্মেনিয়া, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, সার্বিয়া-কসোভো, ইসরায়েল-ইরান, মিসর-ইথিওপিয়া ও রুয়ান্ডা-কঙ্গোর মতো দেশগুলোর সংঘাতও ঠেকাতে সহায়তা করেছে।
তবে ভারত সরকার ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করে বলেছে, ওই যুদ্ধবিরতি তাদের নিজস্ব কূটনৈতিক উদ্যোগের ফল।
মে মাসের যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, খনিজ ও বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করেছে। দুই দেশ প্রযুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতা নিয়েও নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
