এ সপ্তাহেই রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তিতে পৌঁছাবে, আশা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করছেন এই সপ্তাহের শেষেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সমঝোতা হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, 'তারপর দুটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এক হয়ে কাজ করবে—বিষয়টি এখন দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এতে তারা বিপুলভাবে লাভবান হবে'।
উল্লেখ্য, একদিনের জন্য ঘোষিত ইস্টার যুদ্ধবিরতি ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। দেশ দুটি পরস্পরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে দোষারোপ করছে।
গত রোববার (১৪ এপ্রিল) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রুশ বাহিনী যুদ্ধবিরতির নামে 'ভান' করছে, অথচ রাতভর বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে গেছে।
জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, 'সাধারণভাবে বলতে গেলে, ইস্টারের সকালে আমরা দেখতে পাচ্ছি, রুশ বাহিনী যুদ্ধবিরতির একটি ছায়া সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় তারা আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়ে গেছে, এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ক্ষতির মুখে ফেলতে চেয়েছে।'
এর আগে শনিবার রাতে অর্থডক্স চার্চের ইস্টার প্রার্থণায় অংশগ্রহণের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হঠাৎ একদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। তার নির্দেশে শনিবার মস্কো সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত— সব সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়।
এই ঘোষণাটি আসে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দেয়—যদি মস্কো ও কিয়েভ শীঘ্রই শান্তি আলোচনায় দৃঢ় অবস্থান না নেয়, তাহলে তারা মধ্যস্থতা থেকে সরে যাবে।
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর শনিবার সন্ধ্যায়ই শত শত গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোরে ইউক্রেনীয় বাহিনী জানায়, রুশ বাহিনী ৫৯ বার গোলাবর্ষণ করেছে এবং ৫ বার আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে।
"রাশিয়াকে অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে নীরবতার শর্ত মেনে চলতে হবে," বলেন জেলেনস্কি।
তিনি আবারও জানান, কিয়েভ চায় যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আরও ৩০ দিনের জন্য বাড়াতে। তবে রাশিয়া যদি রোববারও লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে ইউক্রেনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
ইউক্রেন প্রতিক্রিয়া রাশিয়ার অনুরূপ হবে বলেন জেলেনস্কি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে তিন বছরেরও বেশি সময ধরে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে যুদ্ধ চলছে।