হিন্দু-মুসলিম ঐক্য কমিটির উদ্যোগে ভারতে ঈদের নামাজে মুসলিমদের ওপর ফুল ছিটানো হলো

ভারতজুড়ে ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ভারতের রাজস্থানেও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরই মধ্যে রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে দেখা গেল সম্প্রীতির এক বিরল দৃশ্য।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে জয়পুরের দিল্লি রোডের ঈদগাহে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে জড়ো হন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গেরুয়া পোশাক পরা কয়েকজন হিন্দু মুসল্লিদের ওপর গোলাপের পাপড়ি বর্ষণ করছেন।
হিন্দু-মুসলিম ঐক্য কমিটির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি 'রাস্তায় কিংবা প্রকাশ্যে নামাজ পড়া' নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল ভারতজুড়ে। বিভিন্ন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জয়পুরের এই ঘটনা ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়েছে।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের মীরাট পুলিশ সুপার (শহরাঞ্চল) আয়ুশ বিক্রম সিং জানিয়েছিলেন, ঈদের নামাজ কেবল মসজিদ কিংবা নির্ধারিত ঈদগাহেই আদায় করতে হবে। কেউ রাস্তায় নামাজ আদায়ের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাস্তায় নামাজ আদায় করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হতে পারে, এমনকি তাদের পাসপোর্ট ও লাইসেন্স বাতিলেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালে একই কারণে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছিল, শুধুমাত্র মসজিদ ও ঈদগাহে নামাজ পড়ার অনুমতি রয়েছে। রাস্তায় জমায়েত করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার জন্য ড্রোন ও সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়েছে। এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার কোতোয়ালি থানায় শান্তি কমিটির বৈঠকে এএসপি শ্রীশ চন্দ্র জানিয়েছিলেন যে, ঈদের নামাজ শুধু মসজিদ এবং ঈদগাহেই পড়া উচিত। তিনি আরও বলেন, মসজিদের কাছে বাড়ির ছাদে নামাজ পড়লেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আবহে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।