স্নায়ুযুদ্ধে আর্কটিক ঘাঁটিতে পাঠানো চিকিৎসক কয়েক দশক পর জানলেন এর গোপন মিশন

১৯৬২ সালের কথা। ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে তখন স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নির্দেশে চিকিৎসক ডা. রবার্ট ওয়েইস নিউইয়র্ক থেকে গ্রীনল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে রওনা হন। তার দায়িত্ব ছিল গ্রীনল্যান্ডের বরফস্তরের প্রায় ৮ মিটার নিচে নির্মিত একটি গবেষণা কেন্দ্রে ক্যাম্প ডাক্তার হিসেবে কাজ করা।
২৬ বছর বয়সি ডা. ওয়েইসকে উত্তর মেরু থেকে ৮০০ মাইল দূরে বরফের নিচে কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক।
তবে বাস্তবে, 'ক্যাম্প সেঞ্চুরি' নামক এই ঘাঁটিটি ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি গোপন প্রকল্পের অংশ। এর উদ্দেশ্য ছিল আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার কাছাকাছি গোপনে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপন করা।
ওয়েইস জানান, নব্ববই দশকের মাঝামাঝি সময়ের আগে তিনি এই প্রকল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ১৯৯৭ সালে মার্কিন কর্মকর্তারা কিছু গোপন নথিপত্র উন্মোচিত করলে এটি প্রকাশ্যে আসে। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় এক বছর পারমাণবিক শক্তিচালিত এই ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্যাম্প সেঞ্চুরির গুরুত্ব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ষাটের দশকের শেষের দিকে এটি বন্ধ হলেও এখানে পরিচালিত গবেষণা ভূতত্ত্ব ও জলবায়ুবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে ক্যাম্পটি বরফস্তরের প্রায় ৯৯ ফুট নিচে চাপা পড়ে আছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বরফ গলার হার বেড়ে গেলে ক্যাম্প সেঞ্চুরির কিছু ক্ষতিকর উপাদান বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। এতে পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বরফের নিচের শহর
'বরফের নিচের শহর' নামে পরিচিত ক্যাম্প সেঞ্চুরির নির্মাণ ছিল প্রকৌশল জগতের এক বিস্ময়কর উদাহরণ। বর্তমান গবেষণা কেন্দ্রগুলো বরফের ওপরে নির্মিত হলেও এটি তৈরি করা হয়েছিল বরফের ভেতর সুড়ঙ্গ খনন করে।
বিশালাকার খননযন্ত্র দিয়ে বরফের নিচে প্রায় দুই ডজন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়। ভূগর্ভস্থ এই ক্যাম্পে শোবার ঘর, শৌচাগার, গবেষণাগার, খাবার ঘর, লন্ড্রি এবং ব্যায়ামাগার। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বরফের নিচে একটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হয়েছিল। এটি ২২২ কিলোমিটার দূর থেকে এনে বরফের নিচে স্থাপন করা হয়।
প্রথমে ওয়েইস বরফের নিচে বাস করা কঠিন হবে ভাবলেও বাস্তবে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। ক্যাম্পের ভেতরে সবসময় গরম ও শুষ্ক পরিবেশ থাকত। প্রায় ২০০ সদস্যের এই ক্যাম্পে সবাই মূলত ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি হওয়ায় গুরুতর চিকিৎসা জটিলতা খুব একটা দেখা যেত না। অবসর সময়ে ওয়েইস চিকিৎসাবিষয়ক বই পড়তেন, দাবা ও কার্ড খেলতেন। তার মতে, ক্যাম্পের খাবারও ছিল 'চমৎকার'।
ওয়েইস বলেন, 'অবস্থা খুব একটা খারাপ ছিল না। এমনকি বরফের নিচের এসব সুড়ঙ্গপথে ট্রাকও চলাচল করতে পারত।'
প্রতিদিন ক্যাম্পের জন্য প্রায় ৩০ হাজার লিটার পানি লাগতো। বরফে গর্ত করে গরম বাষ্প প্রয়োগের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা হতো। একইভাবে, বর্জ্যও বরফের গভীরে পাম্প করে নিষ্কাশন করা হতো।
১৯৬০ সালে চালু হওয়ার কিছুদিন পরই তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্যাম্প সেঞ্চুরির পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওয়েইস এবং অন্যদের বলা হয়েছিল, ক্যাম্প সেঞ্চুরির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেখানো যে একটি পৃথক ঘাঁটি নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালানো সম্ভব।
ওয়েইস খুব কমই ক্যাম্পের ওপরের অংশে যেতেন। তিনি একটানা কয়েক সপ্তাহ বরফের নিচের ট্রেঞ্চেই থাকতেন। কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ছয় মাস, আর সাধারণ সৈন্যরা ক্যাম্পে থাকতে পারতেন চার মাস। ১৯৬০ সালে ক্যাম্পে একমাত্র নারী হিসেবে পা রাখেন এক ড্যানিশ চিকিৎসক।

'প্রজেক্ট আইসওয়ার্ম: বরফের নিচে ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রের পরিকল্পনা'
১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সারা বছরজুড়েই ক্যাম্প সেঞ্চুরির কার্যক্রম চলেছিল এবং পরবর্তী দুই বছর অর্থাৎ, ১৯৬৭ সালে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত শুধু গ্রীষ্মকালে চালু থাকত। ক্যাম্পটির প্রকাশ্য উদ্দেশ্য ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা।
তবে এর আড়ালে ছিল 'প্রজেক্ট আইসওয়ার্ম' নামক একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। এখানে বরফের নিচে একাধিক সুড়ঙ্গ তৈরি করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা, যা রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারবে।
ওয়েইস পরে বুঝতে পারেন, তিনি সম্ভবত 'প্রজেক্ট আইসওয়ার্ম'-এর এক ব্যর্থ পরীক্ষার সাক্ষী ছিলেন। বরফের নিচে ক্ষেপণাস্ত্র সরানোর জন্য একটি পাতাল রেল ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছিল, যাতে শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে অস্ত্র স্থানান্তর করা যায়। বরফের নিচে ঘোড়ার খুর আকৃতির এক সুড়ঙ্গ তৈরি করে ট্রেনের ওজন পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে প্রকল্পটি সফল হয়নি।
১৯৯৭ সালে ড্যানিশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স মার্কিন গোপন নথি প্রকাশ করলে 'প্রজেক্ট আইসওয়ার্ম' সম্পর্কে বিশ্ব জানতে পারে। ক্যাম্প সেঞ্চুরিতে কখনও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা না হলেও 'থুলে বিমান ঘাঁটি'তে (বর্তমানে পিটুফিক স্পেস বেস) পারমাণবিক অস্ত্র রাখা হয়েছিল। এটি প্রকাশ্যে এলে গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
'দ্য ইঞ্জিনিয়ার স্টাডিজ সেন্টার এন্ড আর্মি অ্যানালাইসিস: এ হিস্ট্রি অফ দ্য ইউ.এস. আর্মি ইঞ্জিনিয়ার স্টাডিজ সেন্টার' বইতে উঠে এসেছে 'প্রজেক্ট আইসওয়ার্ম'-এর প্রসঙ্গ।
ড্যানিশ গবেষক ক্রিস্টিয়ান নিলসেন বলেন, প্রজেক্ট আইসওয়ার্ম নিয়ে সম্পূর্ন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। কারণ একমাত্র একটি নথি থেকেই আমরা এর সম্পর্কে জানতে পেরেছি। প্রকল্পের মূল নথিগুলো এখনো অজানা।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প কে পরিকল্পনা করেছিল, কারা এটি নিয়ে আলোচনা করেছিল, কিংবা কতটা গুরুত্বসহকারে এটি বিবেচিত হয়েছিল—তা নির্ধারণ করা কঠিন। অনেকেই প্রজেক্ট আইসওয়ার্মকে ক্যাম্প সেঞ্চুরির মূল পরিকল্পনা ছিল বলে মনে করেন। তবে আমার ধারণা, ক্যাম্প সেঞ্চুরি চলমান থাকা অবস্থায় প্রজেক্ট আইসওয়ার্মের চিন্তা আসে।
ওয়েইস জানান, তিনি সেখানে থাকাকালীন এই প্রকল্পের কিছু শোনেননি। ১৯৬২ বা ১৯৬৩ সালে 'আইসওয়ার্ম' শব্দটাই হয়তো আমরা শুনিনি। আমাদের শুধু বরফের নিচে একটি পাতাল রেল চালানোর পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল।
বর্তমানে গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদে একাধিকবার গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দেন। ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে অবস্থান ছাড়াও এখানে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে 'দুর্লভ খনিজ পদার্থ' রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বরফ গললে সহজেই এসব উত্তোলন করা যেতে পারে।
নিলসেন বলেন, 'গ্রিনল্যান্ড এখন আর সরাসরি সামরিক হামলার জন্য অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ পারমাণবিক সাবমেরিন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে সহজেই আক্রমণ চালানো যায়। তবে এটি নজরদারির জন্য খুবই কৌশলগত জায়গা, বিশেষ করে আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলতে থাকায় নতুন বাণিজ্যপথ তৈরির ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব বেড়েছে।'
১৯৬৭ সালে ক্যাম্প সেঞ্চুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্রমশ বরফের নড়াচড়ার কারণে সুড়ঙ্গগুলোর গঠন পরিবর্তন হচ্ছিল। ফলে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণে সময় ও খরচ বেড়ে যায়। ওয়েইস বলেন, সুড়ঙ্গের দেয়াল থেকে বরফ সরিয়ে তা বাইরে নিয়ে যাওয়া ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে জলবায়ু গবেষণায় ক্যাম্প সেঞ্চুরির বৈজ্ঞানিক কাজের ধারা টিকে আছে। এখানকার গবেষকদের হাত ধরেই প্রথমবারের মতো বরফের গভীর থেকে একটি সম্পূর্ণ 'আইস কোর' সংগ্রহ করা হয়। এটি ৪ হাজার ৫৬০ ফুট গভীরে ছিল এবং এতে বরফের তলদেশের কিছু পাললিক স্তরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই গবেষণা পৃথিবীর প্রাচীন জলবায়ু বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বরফের স্তরে বার্ষিক পরিবর্তন দেখে বিজ্ঞানীরা জলবায়ুর অতীত অবস্থা জানতে পারেন। এছাড়া বরফে আটকে থাকা অক্সিজেন আইসোটোপ বিশ্লেষণ করে প্রাচীন তাপমাত্রার হিসাব করা হয়।
ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের 'জিওলজিক্যাল সার্ভের' কানাডিয়ান হিমবিজ্ঞানী অধ্যাপক উইলিয়াম কোলগান বলেন, '১৯৬৬ সালে প্রথম আইস কোর সংগ্রহ করার সময় আমাদের জলবায়ুর অতীত সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তিনি ক্যাম্প সেঞ্চুরিকে 'প্যালিওক্লাইমাটোলজির জন্মস্থান' হিসেবে উল্লেখ করেন।
২০১০ সালে নতুন এক আইস কোর সংগ্রহ করতে কোলগান ক্যাম্প সেঞ্চুরিতে ফিরে যান। কিন্তু বরফের নিচে ক্যাম্পের অবশেষ সম্পর্কে জানতে গিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠে আসে।
তিনি দেখতে পান, ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার সময় ত্যাগ করা 'জৈব, রাসায়নিক ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য' জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে একসময় বরফের উপরিতলে উঠে আসতে পারে।
মার্কিন সেনাবাহিনী ক্যাম্প সেঞ্চুরির পারমাণবিক চুল্লিটি সরিয়ে নিলেও তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের কিছু অংশ বরফ গহ্বরে ফেলে রেখেছিল। ক্যাম্পের বাসিন্দাদের পয়োবর্জ্যও বরফের মধ্যে জমে আছে।
এই বর্জ্য চিরকাল বরফের নিচে চাপা থাকবে কি-না তা এখনো অনিশ্চিত। কোলগানের গবেষণা মতে ২১০০ সালের আগে ক্যাম্পের অবস্থানে উল্লেখযোগ্য বরফ গলার সম্ভাবনা নেই। তবে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২১০০ সালের পর পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।
আইস কোরের নতুন আবিষ্কার: বরফমুক্ত গ্রিনল্যান্ডের প্রমাণ
ক্যাম্প থেকে প্রায় পাঁচ দশক আগে সংগ্রহ করা আইস কোর এখনো নতুন তথ্য দিচ্ছে। প্রথম দফা গবেষণার সময় নমুনার বেশিরভাগ ধ্বংস হয়ে গেলেও কিছু অংশ ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের আইস কোর ফ্যাসিলিটিতে (ডেনভার, যুক্তরাষ্ট্র) সংরক্ষিত আছে।
এই আইস কোরের 'বহু আগে হারিয়ে যাওয়া অংশ' ২০১৭ সালে কোপেনহেগেনের একটি ফ্রিজারে কাচের বোতলে সংরক্ষিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। 'হোয়েন দ্য আইস ইজ গন' বইয়ের লেখক বিয়ারম্যান ওই নমুনা পরীক্ষা করার সুযোগ পান। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে তার ল্যাবে বরফ গলিয়ে জমাট বাঁধা পাললিক পদার্থ বের করার ঘটনাটি তার জীবনের একমাত্র 'ইউরেকা মোমেন্ট'।
তিনি নমুনায় 'গাছের শাখা, পাতা ও মস' খুঁজে পান। এটি প্রায় ৪ লক্ষ বছর আগে গ্রিনল্যান্ডের বড় একটি অংশ বরফমুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ দেয়।
এই গবেষণা বিজ্ঞানীদের আগের ধারণায় পরিবর্তন আনে। আগে মনে করা হতো, গ্রিনল্যান্ডের বরফ মিলিয়ন বছর ধরে স্থায়ী। কিন্তু নতুন এই তথ্য মতে কয়েক লক্ষ বছর আগেও সেখানের স্বাভাবিক সবুজ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির শঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
বিয়ারম্যান মনে করেন, ক্যাম্প সেঞ্চুরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাধিকার এর বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম। তিনি বলেন, 'ক্যাম্পের অবকাঠামো এখন ধ্বংস হয়েছে। কর্মীরাও প্রায় সবাই মৃত। কিন্তু এই বরফ কোর গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা বোঝার জন্য আজও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে।'
প্রায় শতাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্যাম্প সেঞ্চুরির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখছে।