ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক পুতিন, দরকার হলে জেলেনস্কির সাথে কথা: ক্রেমলিন

ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজ লক্ষ্যগুলো অর্জন করতেই রাশিয়া এখন আগ্রহী, তাই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বিরোধের অবসান চান। এবিষয়ে তিনি আন্তরিক।
সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরুর প্রেক্ষাপটে— আজ মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন।
মঙ্গলবারের এ বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, উভয়পক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউরি উশাকভের সঙ্গে মিলিত হবেন।
এই প্রেক্ষাপটে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, 'শান্তি আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত— শুরু থেকেই পুতিন সেকথা বলে আসছেন। আমাদের কাছে মূল বিষয় হলো– নিজেদের লক্ষ্যগুলো অর্জন। অবশ্যই সেগুলো অর্জনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়কেই পছন্দ করি।'
পেসকভ জানান, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের কোনো তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, তবে রিয়াদে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সেটিও বলা সম্ভব হবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, আলোচনা সবে শুরু হয়েছে, তাই এর বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভবপর নয়।
পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথেও আলোচনায় বসতে আগ্রহী কিনা– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, 'যদি দরকার হয়— তাহলে জেলেনস্কির সাথেও সংলাপ করবেন, একথা পুতিন নিজেও এর আগে বলেছেন।
তবে আলোচনার ক্ষেত্রে জেলেনস্কি ইউক্রেনের বৈধ সরকারপ্রধান কিনা– সেটি আগে বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে পেসকভ উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচিত সরকার-প্রধান হিসেবে জেলেনস্কির মেয়াদ বেশ আগে শেষ হলেও– যুদ্ধের কারণে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, আর জরুরি সামরিক আইনের বলে ক্ষমতায় আছেন তিনি। এর আগে পুতিনও জেলেনস্কিকে ইউক্রেনের অবৈধ নেতা বলে অবহিত করেছেন।