আসাদের পতনের পর সিরিয়ার গোলান মালভূমির বাফার জোন দখলে নিল ইসরায়েল

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসানের পর ইসরায়েলি বাহিনী গোলান মালভূমির একটি বাফার জোন দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল ও সংযুক্ত করে নেয় ইসরায়েল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে সিরিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে দেখে আসছিল। পরে ১৯৭৪ সালে বাফার জোন প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইসরায়েলি অধিকৃত ও সিরিয়ার অঞ্চলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে।
এ বিষয়ে আজ রোববার তিনি বলেন, কয়েক বছরের পুরনো চুক্তি আর কার্যকর নেই এবং সিরিয়ার সৈন্যরা তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে গেছে। ফলে ইসরায়েলের এখন তা দখলে নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা কোনো শত্রুপক্ষকে আমাদের সীমান্তে প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না।'
পরে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির কৃষি এলাকাগুলো ক্লোজড মিলিটারি জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ সিরিয়া ও দামেস্কের অস্ত্রের ডিপোগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যাতে বিরোধীরা এগুলো দখল করতে না পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যমকে কেএএনকে বলেন, 'দক্ষিণ সিরিয়া ও দামেস্কের বিমানবন্দর এলাকার অস্ত্র ডিপোগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠী ও স্থানীয় বিরোধী দলগুলো দখল করতে পারে- এমন আশঙ্কায় আমরা সেগুলোতে হামলা করেছি।'
'ইসরায়েল যেকোনো সম্ভাব্য হুমকিকে ব্যর্থ করতে এবং সিরিয়ায় তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যেকোনো ধরনের ক্ষতি ঠেকাতে করতে কাজ করছে,' যোগ করেন তিনি।
হিজবুল্লাহ ও ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে উন্নত অস্ত্রের সম্ভাব্য সরবরাহের বিষয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ইসরায়েল প্রায়ই সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছিল।
দামেস্কের এক সাংবাদিক আজ জানান, দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে মাজেহ সামরিক বিমানবন্দর এলাকায় হামলা হয়েছে।
এর আগেও একাধিকবার বিমানবন্দরটিতে হামলা হয়েছে। তবে আজকের হামলায় কারা জড়িত, তাৎক্ষণিকভাবে সেটি জানা যায়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও ইসরায়েলি বাহিনী মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক