হামাসের সামরিক প্রধান হানিয়াকে দুমাস আগে লুকানো বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে, যেটি কয়েক সপ্তাহ আগেই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। হানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে আগে থেকেই জানা একটি সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সুত্রের মতে, হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানের যে গেস্ট হাউজে অবস্থান করছিলেন সেখানে দুই মাস আগেই বোমাটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর হানিয়া যখন গতকাল সেখানে যান তখন দূর থেকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ইসরায়েল এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান সরকার এবং হামাস। ইসরায়েল তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার করেনি।
সূত্রটি জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযান সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং হামাস এর আগে জানিয়েছিল, ইসমাইল হানিয়া গেস্ট হাউজের বাইরে থেকে ছোড়া মিসাইলের আঘাতে নিহত হয়েছেন।
সিএনএন এ ব্যাপারে ইরান সরকারের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছে।
কিন্তু ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড-এর (আইআরজিসি) সুরক্ষায় থাকা গেস্ট হাউসের ভেতরে গোপনে বোমা লুকিয়ে রাখার ঘটনায় আইআরজিসি-র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার বলেছেন, "আপনারা আমাদের বাড়িতে আমাদের প্রিয় অতিথিকে হত্যা করেছেন এবং আপনাদের কঠিন শাস্তির পথ প্রশস্ত করেছেন।"
হানিয়ার মৃত্যু কৌশলগত এবং প্রতীকী, উভয়ভাবেই হামাসের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
তার হত্যাকাণ্ড গাজায় জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য স্থবির আলোচনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধানের ভূমিকা পালন করছিলেন ইসমাইল হানিয়া।