বছরে ২ বার ভর্তির সুযোগ পাবে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়-ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে দুই বার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ চালু হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৪-'২৫ সেশন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বছরে দুই বার নিয়মিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসি।
জগদীশ কুমার জানান, গত ৫ মে অনুষ্ঠিত ইউজিসির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো নিয়মিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। তাই ভারতের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (এইচআইআই) শিক্ষাবর্ষ জুলাই-আগস্টে শুরু হয় এবং মে-জুনে শেষ হয়।
গত বছর ওপেন অ্যান্ড ডিসট্যান্স লার্নিং (ওডিএল) এবং অনলাইন মোডের অধীনে বছরে দুইবার জানুয়ারি ও জুলাই মাসে ভর্তির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউজিসি।
ইউজিসি জানিয়েছে, তাদের ওপেন অ্যান্ড ডিসট্যান্স লার্নিং এবং অনলাইন মোডে বছরে দুইবার ভর্তির অনুমোদন দেওয়ার পরে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটা পূর্ণ শিক্ষাবর্ষের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেছেন, যদি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে দুইবার ভর্তি নেয়, তাহলে অনেক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। এছাড়া যারা ফল ঘোষণায় দেরি, স্বাস্থ্য সমস্যা ও ব্যক্তিগত কারণে এক শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে পারেন না, তাদেরকেও আর একবছর অপেক্ষা করতে হবে না।
তিনি বলেন, 'এছাড়া বছরে দুই বার ভর্তির সুযোগ চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তাদের অবকাঠামো সমৃদ্ধ করতে মনোযোগী হবে। যেমন: ফ্যাকাল্টি, ল্যাব, ক্লাসরুম ইত্যাদি। ফলে সার্বিকভাবে দেশের উচ্চশিক্ষায় একটি বড় গতি তৈরি হবে।'
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'আরও একটি ব্যাপার হলো, বিশ্বের সব উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বছরে দুই বার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তাই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের অনেকেই বাইরের দেশে পাড়ি জমায়। যদি আমাদের এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে দু'বার ভর্তির সুযোগ চালু হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা খানিকটা হলেও কমবে।'