পূর্বাভাসের সঙ্গে হিসেবের অমিল; ভারতের শেয়ারবাজার হারাল ৩৮৬ বিলিয়ন ডলার

জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাচ্ছে না, এমন ইঙ্গিতের পর ভারতের শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে। দেশটির শেয়ারবাজার মার্কেট ভ্যালু হিসেবে ৩৮৬ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।
এর আগে এক্সিট পোলের অনুমানে দেখা গিয়েছিল, নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেতে যাচ্ছেন।
মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে (এনডিএ) এটির মিত্ররা ২৯০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে আছে — ভোট গণনার এমন প্রাথমিক হিসেবের পর মুম্বাইয়ে এনএসই নিফটি ৫০ সূচকের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ পতন হয়েছে, যা গত চার বছরেরও বেশি সময়ে এটির সবচেয়ে নেতিবাচক দিন।
ভারতের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন। এর আগে বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ৩০০ আসনে জয়লাভ করেছিল।
১৯ এপ্রিল ভোট শুরু হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তার জোট ৪০০টি আসনে জিতবে।
ইউবিএস গ্রুপ এজি-এর স্ট্র্যাটেজিস্ট সুনীল তিরুমালাই লিখেছেন, 'বিজেপির সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় জোটের অভ্যন্তরে দরকষাকষির পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এসেছে। আর গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানের পরিস্থিতি বাজারে নেতিবাচক হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে।'
বিজেপি সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যবসা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের তীব্র পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ইল্ড আট বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবরের পর থেকে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন।
একটি বন্ডের বাজারদরের বিপরীতে কত শতাংশ বার্ষিক সুদ পাওয়া যায়, তা ওই বন্ডের ইল্ড।
ভারতের নিফটি সূচক এক পর্যায়ে সাড়ে আট শতাংশ কমে ২০২০ সালের মার্চে করোনাকালীন ধসের পর প্রথমবারের মতো দিনের সর্বনিম্ন দরসীমায় পৌঁছানোর পর্যায়ে ছিল।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৫৪৩ আসনের মধ্যে সাড়ে ৩০০টিরও বেশি আসন জিতবে — এক্সিট পোলের এ ভবিষ্যৎবাণীর আগে ব্লুমবার্গ-এর এক সমীক্ষা দেখা গিয়েছিল, বিজেপি যদি ২৭২ আসনের অর্ধেকও না পায়, তাহলে ভারতীয় শেয়ারবাজারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পতন হতে পারে।