যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিনে ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস

হামাসের সঙ্গে প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিন শুক্রবার ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইসরায়েলি নারী ও শিশু, এবং থাই কর্মীরা রয়েছেন বলে জানিয়েছে রেডক্রস।
সাত সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো ময়দানের লড়াই বন্ধের পর ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস গাজা থেকে ইসরায়েলে জিম্মিদের স্থানান্তরে সহযোগিতা করতে কাজ শুরু করে বলে সংস্থাটি জানায়।
ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে এসব জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। রেড ক্রস পরে জানিয়েছে, প্রথম দিন গাজায় ২৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রেড ক্রস ও একটি মিশরীয় নিরাপত্তা দলের কাছে ১৩ জন নারী ও শিশুকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার ও হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এছাড়া থাইল্যান্ড জানিয়েছে, আলাদাভাবে ১২ জন থাই কর্মীকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ইসরায়েলে বিভিন্ন ফার্মে কাজ করা এ কর্মীরা ৭ অক্টোবর অন্যদের সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিন বলেন, গাজায় বন্দিদশা থেকে ১২ থাই কর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বন্দিবিনিময় আলোচনা সম্পর্কে ধারণা রাখা একটি সূত্র জানিয়েছে, থাই ওই ১২ ব্যক্তিকে মুক্তির বিষয়টি বর্তমান চুক্তির বাইরে ছিল। মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে তাদের মুক্তি নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়।
ওই সূত্র আরও জানায়, মুক্তি পাওয়া থাই কর্মীর সংখ্যা ১১ বা ১২ জন হতে পারে।
চারদিনের ইসরায়েল-হামাস চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের জিম্মি করা প্রায় ২৪০ জনের মধ্যে ১৩ নারী ও শিশুকে প্রথম দলে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী, মোট ৫০ জন জিম্মি ও ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তির কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস যদি দিনে অন্তত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো সম্ভব।
ফিলিস্তিনি একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১০০ জন পর্যন্ত জিম্মি মুক্তি পেতে পারেন।
এর আগে শুক্রবার জিম্মিদের মুক্তির আগে অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাত সপ্তাহ পর হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যকার লড়াই প্রথমবারের মতো থামে।
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর বড় ধরনের বোমাবর্ষণ, আর্টিলারি বা রকেট হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যদিও হামাস ও ইসরায়েল দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন গোলাগুলির অভিযোগ এনেছে।
দুপক্ষই জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষে যুদ্ধ আবার পুরোদমে শুরু হবে।