ইসরায়েল-হামাস সংঘাত: যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্ব

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রকাশ্য বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার আরব বিশ্বের মিত্ররা। গতকাল শনিবার জর্দানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলে ধরে মিসর ও জর্দান। কিন্তু ব্লিনকেন সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
মিসরের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরিও এবং জর্দানের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ওয়াশিংটনের কাছে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
সাফাদি বলেন, 'এটিকে (ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা) আমরা আত্মরক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না। কোনো অযুহাতেই এটি ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না।'
তবে ব্লিনকেন মনে করেন, এখন যুদ্ধবিরতি হলে হামাসই বেশি লাভবান হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে পুনরায় সংগঠিত হওয়া এবং হামলার সুযোগ তৈরি করবে।
এর পরিবর্তে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ ও হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা চালাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন স্থানীয়ভাবে 'মানবিক বিরতি'র আহ্বান জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকষ্মিক হামলা চালায় হামাস। জবাবে ইসরায়েলও হামলা শুরু করে। শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে আরব বিশ্বের দেশগুলো ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা বন্ধে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে আসছে। এ নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছে না ওয়াশিংটন ও তার মধ্যপ্রাচ্যের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র। প্রায় এক মাস ধরে চলা সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএফএ জানিয়েছে, গতকাল মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বহু মানুষ।
হামাস নিয়ন্ত্রিত উপত্যকাটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।