রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেলরা কোথায়? ওয়াগনার বিদ্রোহের পর নানা গুজব

পুতিনের বিরুদ্ধে চালানো মার্সেনারি বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর জনসমক্ষে দেখা যায়নি দেশটির শীর্ষ জেনারেলদেরকে। এমনকি তাদের মধ্যে অন্তত একজন জেনারেলকে গ্রেপ্তারের খবরও [অসমর্থিত] পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৪ জুন) থেকে জনসম্মুখে বা রাষ্ট্রীয় টিভিতে উপস্থিত হননি রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ। এমনকি ৯ জুন থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
২৪ জুনই রাশিয়ার দক্ষিণ সামরিক জেলার সদর দপ্তর রোস্তভ-অন-ডনে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল ওয়াগনাররা। দখলের পর ওয়াগনারের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের প্রথম দাবি ছিল শোইগু ও জেনারেল গেরাসিমভকে তার কাছ হস্তান্তর করা।
ইউক্রেনে রাশিয়ান যুদ্ধের কমান্ডার ৬৭ বছর বয়সী গেরাসিমভ। কয়েকজন পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার তিনটি 'পারমাণবিক ব্রিফকেস' এর মধ্যে একটির ধারক তিনি।
জনসমক্ষে দেখা যায়নি জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকেও। সিরিয়ার সংঘাতে তার আক্রমণাত্মক কৌশলের জন্য সুরোভিকিনকে 'জেনারেল আর্মাগেডন' নাম দেয় রাশিয়ান প্রেস। ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার তিনি।
একটি মার্কিন গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ের ভিত্তিতে মঙ্গলবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্সেনারি বিদ্রোহ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন তিনি। সেখানে বলা হয়, রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে দেখছে তিনি বিদ্রোহের সাথে জড়িত কিনা।
এর পরদিনই (বুধবার) ক্রেমলিন প্রতিবেদনটির দাবি নাকচ করে দেয়।
এদিকে, মস্কো টাইমসের রাশিয়ান-ভাষার সংস্করণ এবং একজন সামরিক ব্লগার ইতোমধ্যেই সুরোভিকিনের গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার কিছু সামরিক সংবাদদাতা বলেছেন, মার্সেনারি বিদ্রোহের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা- সে বিষয়ে তাকে এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুরোভিকিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সাবেক প্রেস অফিসার পরিচালিত টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি প্রভাবশালী চ্যানেল 'রাইবার' জানিয়েছে, রাশিয়ায় 'এক ধরনের শুদ্ধি অভিযান' চলছে।
সাবেক ওই অফিসার বলেন, যেসব সামরিক সদস্য মার্সেনারি বিদ্রোহ দমনে 'নির্ধারকতার অভাব' দেখিয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া কিছু প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওয়াগনার বিদ্রোহীদের রুখতে সশস্ত্র বাহিনীর কিছু অংশ খুব নগণ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল।