ওয়াগনার গ্রুপকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন পুতিন, বিদ্রোহীদের কঠোর শাস্তির হুমকি

ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত রুশ বাহিনীর ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির 'সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রচেষ্টা'কে 'বিশ্বাসঘাতকতা' ও জাতির জন্য 'হুমকিস্বরূপ' বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলে জানান তিনি।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বে বিদ্রোহ দমনের জন্য ইতোমধ্যেই রুশ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
শনিবার (২৪ জুন) জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, "যারা সশস্ত্র বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয় আদেশ রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।"
"রুশ নাগরিক হিসেবে, আমি দেশকে রক্ষা করার জন্য সবকিছু করব। সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সেগুলো হবে কঠোর," বলেন পুতিন।
আজ সকালে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। তিনি জানান, ওয়াগনার সেনারা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের রণাঙ্গন ছেড়ে রুশ সীমান্তে প্রবেশ করেছে। এমনকি, ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরের রুশ শহর রোস্তভের সামরিক ভবনগুলো দখলেরও দাবি করেন তিনি। এই শহর রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক ভিডিওতে তাকে সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা করতে দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুয়ের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চেয়েছেন।
'সশস্ত্র বিদ্রোহের প্ররোচনা' দেওয়ার অভিযোগে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলার ঘোষণা দেওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিলেন ওয়াগনার প্রধান।
এর আগে প্রিগোজিন বলেছিলেন, তার গ্রুপের বহু সৈন্যকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যা করা হয়েছে। এরজন্য রাশিয়া সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেন তিনি। একইসঙ্গে এই হামলার কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ওয়াগনার প্রধান।