ফোনের চার্জার কেনা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ: ইউএনও, ওসিসহ আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মোবাইল ফোনের চার্জার কেনা নিয়ে পূর্ববিরোধ এবং এক নারীর দিকে তাকানোর জেরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কয়েক দফায় উপজেলার চানমনিপাড়া ও মোগলটুলা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদেরকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় চানমনিপাড়া গ্রামের মৃত হেলাল মিয়ার স্ত্রী হালেমা বেগম তার ছেলে সাইফুল ইসলামকে নিয়ে উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রাম দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোগলটুলা গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওই নারীর দিকে তাকায়। হালেমা বিষয়টি নিয়ে তৌহিদুলের সাথে তর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে হালেমার ছেলে সাইফুল ইসলাম এগিয়ে গেলে তৌহিদুলের সাথে তার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে তৌহিদুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে মোগলটুলা গ্রামবাসী চানমনিপাড়া গ্রামে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করতে যায়।
এ সময় দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এবং সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, মাস দুয়েক আগে মোবাইল ফোনের চার্জার কেনা নিয়ে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় চানমনিপাড়া ও মোগলটুলা গ্রামের লোকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধ এবং নারীর দিকে তাকানো নিয়ে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।
তপন সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।