লোহার সিন্দুক কিংবা আধুনিক ভল্ট: রাজধানীর যেখানে পাবেন নিরাপত্তা সরঞ্জাম

আমাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কী—এমন প্রশ্ন যদি করা হয়, কেউ কেউ চিন্তায় পড়ে যাবেন। কেউ একটু হোঁচট খেতে পারেন। কেউ বা এক লহমায় বলে দিতে পারবেন। এ প্রশ্নের উত্তর আবার একেকজনের কাছে একেকরকম।
তবে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসবে মোটের ওপর টাকা-পয়সা, জমির দলিল, একাডেমিক সার্টিফিকেট, গয়নাগাটি, বইপত্রসহ নানা পার্থিব জিনিসের কথা। কারণ সবার তো আর রবি ঠাকুরের ছোট গল্পের 'হৈমন্তী' থাকে না, যাকে সম্পত্তি নয়, 'সম্পদ' বলা যায়। সোজা কথায়, সম্পদ বলতে আমরা তাই বুঝি যার অর্থনৈতিক মূল্য আছে।
আধুনিক যুগে এসে টাকাকড়ি বা এ ধরনের সম্পদ থাকলে নিরাপদে গচ্ছিত রাখার হ্যাপা তো আছেই। এমন হ্যাপায় পড়লে মনে হয়, বিনিময় প্রথার সেই সোনালি দিনগুলোই বেশ ছিল!
যাই হোক, টাকাকড়ি, অলংকার বা এ ধরনের সম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনি যদি চিন্তিত থাকেন, তাহলে চিন্তার আর কোনো কারণ নেই। আজকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নিরাপদে রাখার আনুষঙ্গিক জিনিস নিয়ে কথা বলব। তালা, লোহার সিন্দুক, ভল্ট, ডিপোজিট ড্রয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা, দরজার লকসহ যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনার নিশ্চিন্ত ঘুমের কারণ হতে পারে, সেগুলো আজকের দিনে আর বাড়তি নয়, বরং প্রয়োজনীয় বলা বাঞ্ছনীয়।
আদিম মানুষ গুহাবাসী থেকে সভ্য হওয়ার প্রক্রিয়ায় সমাজে বাস করা শুরু করে। মাথার ওপর ছাদের তাগিদে বানায় বাসস্থান। এরপর আস্তে আস্তে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে দরজা, জানালা, প্রাচীর তৈরি হতে থাকে।

কিন্তু দরজার ব্যবস্থার পরে মানুষ ঠিক কবে, কীভাবে তালা-চাবি বা শিকলের ধারণায় পৌঁছেছিল, সে বিস্তারিত ইতিহাস আজকে লিখব না। তবে তালা-চাবির আধুনিকায়নের প্রয়োজন নিশ্চয় নিরাপত্তাজনিত কারণেই দেখা দিয়েছিল—তা সকলেই স্বীকার করবেন।
সেই কারণেই কাঠের দরজার বদলে এল কলাপসিবল গেট। দরজার লোহার কড়ার বদলে এল হ্যাজবোল্ট। রাজা-বাদশার আমলে তৈরি হওয়া সিন্দুকের ধারণা মানুষ একেবারেই ফেলে দেয়নি, বরং আধুনিকায়ন করেছে।
পুরোনো দিনের জমিদারবাড়িতে লোহার সিন্দুকের কথা গল্প-উপন্যাসে আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি। সিন্দুক বা ছাপবাক্সে টাকাকড়ি রাখার ধারণা বেশ পুরোনো। যদিও সেসব সিন্দুক এত উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থা দিত না, তবু একেবারে ফেলনা ছিল না।
এবার চলুন, আজকের দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে খুঁটিনাটি অনেক কিছু জেনে নেওয়া যাক।
গোদরেজ সিকিউরিটি সিস্টেম
গোদরেজ সিকিউরিটি সিস্টেম এমন সব নিরাপত্তাসামগ্রী বিক্রি করে, যা আপনার অনেক দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাবে।
এলিফ্যান্ট রোডে গোদরেজ সিকিউরিটি সিস্টেমের আউটলেটে ঢুকতেই দেখা গেল সারি সারি সিন্দুক। উচ্চতা ৩-৪ ফুটের কাছাকাছি। এক দেখায় মনে হতে পারে জমিদারবাড়ির খাজাঞ্চিখানার আলমারি!

চাবি ঢোকানোর জায়গাটি লোহার পাত দিয়ে ঢাকা। তার খানিকটা নিচে রয়েছে হাতলের ব্যবস্থা। দেখতে ছোটোখাটো মনে হলেও এসব লোহার সিন্দুকের ওজন একেবারে কম নয়—কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৭০০ কেজি তো হবেই!
এমন সিন্দুক আপনি কখনো না কখনো স্বর্ণকার পট্টিতে কিংবা সোনার গয়নার দোকানে দেখেছেন।
শুধু সিন্দুক নয়, ব্যাংকের লকারে থাকা ছোট ছোট ড্রয়ার, লোহার দরজা, দরজার হ্যাজবোল্ট, প্রকাণ্ড আকারের সিন্দুক—সবই মিলবে এই দোকানে। এমনকি আছে হোমলকারও। হোমলকারের সাইজখানা খুব বড় নয়—আজকের দিনের মাইক্রোওয়েভের আকৃতির।
এসব হোমলকারগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ব্যবহারের সুযোগ তো আছেই, পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে বায়োমেট্রিক কিংবা পিন বসিয়েও ব্যবহার করা যায়। তাই ফোনের মতো একটা পিন কোড বসিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে পারেন বন-পাহাড়-জঙ্গল থেকে। তাছাড়া সিসিটিভি দিয়ে ঘরের নিত্যকার চিত্র তো দেখতেই পাবেন ফোন কিংবা কম্পিউটারে।
হোমলকারের বিশেষ সুবিধা হলো, আকারে ছোট হওয়ায় বাসাবাড়ির আলমারির মধ্যে সহজেই রাখা যায়। তবে সমস্যার দিকটাও বুঝতেই পারছেন—আকারে ছোট হওয়ায় এতে অনেক বেশি জিনিস রাখা যায় না।
সবমিলিয়ে, গোদরেজ সিকিউরিটি সলিউশন তিন ধরনের লকার রাখে। এর মধ্যে আছে হোমলকার, যা প্রাথমিক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। বাড়িতে আলমারি কিংবা অন্য যেকোনো কিছুর তুলনায় এটি যথেষ্ট নিরাপদ।

এছাড়া আছে বার্গলারি লকার। এই ধরনের লকার সহজে ভাঙার প্রশ্নই আসে না। তবে এর সীমাবদ্ধতা হলো এটি আগুন প্রতিরোধী নয়। তাই আগুন লাগলে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। তবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেষ্টিত ফায়ার এবং বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স লকারও রয়েছে, যা আগুন প্রতিরোধী।
ছোট বা মাঝারি ধরনের অফিসের জন্য বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স (চুরি প্রতিরোধী) লকার এবং গার্মেন্টস ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য ফায়ার বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স লকার উপযোগী।
বার্গলারি ও ফায়ার রেজিস্ট্যান্স এবং বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স সিন্দুকের ক্ষেত্রে চাইলে মেঝে বা দেয়ালে স্থায়ীভাবে বসিয়ে নেওয়া যায়। এতে বড় কোনো ডাকাতির ঘটনায় সিন্দুক সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। আর ভেঙে ফেলা তো সহজ বিষয় নয়।
এছাড়া এই সিন্দুক একবার কিনলে কয়েক প্রজন্ম স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারবে।
ফায়ার এবং বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স সিন্দুক ছিল কাচ্চিভাইয়ের বেইলি রোডের শাখায়। বছরখানেক আগে সেখানে আগুন লাগার ঘটনায় বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এই অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু তছনছ হয়ে গেলেও ফায়ার এবং বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স লকারটি ছিল অক্ষত।

আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষের অনুরোধে প্রায় তিন দিনের প্রচেষ্টায় গোদরেজের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সেই লকার ভাঙতে সক্ষম হন। গোদরেজ সিকিউরিটি সলিউশনের ম্যানেজার রফিক মেহফুজ এসব তথ্য জানান।
এই বার্গলারি ও ফায়ার বার্গলারি রেজিস্ট্যান্স লকারের ওজন কেমন হতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন? ৫৫৫ থেকে ১০০০ কেজি! আকারের দিক থেকে বড় সাইজের ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে ছোট কিছু নয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও লকারের আকার অনুসারে এই আউটলেটে ২০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকার মধ্যে পণ্য পাওয়া যায়। ফলে সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ রয়েছে।
ভারতীয় কোম্পানি গোদরেজ সিকিউরিটি সলিউশনের মূল শাখা মুম্বাইতে। ২০১৭ সালে গোদরেজ বাংলাদেশে নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ঢাকায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম আউটলেট চালু করে।
শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যবসায় সাফল্য আসতে শুরু করে। বিশেষ করে ঢাকায় নিরাপত্তা সমস্যা বেশি থাকায় এ সংক্রান্ত চাহিদাও অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি। ফলে একটি আউটলেট দিয়ে শুরু করলেও পরে ঢাকায় আরও পাঁচটি শাখা খুলতে হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে তাদের মোট ১২টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬টি, চট্টগ্রামে ২টি এবং সিলেট, পিরোজপুর, খুলনা ও হাজিগঞ্জে ১টি করে শাখা রয়েছে।

যেসব জেলায় গোদরেজের আউটলেট নেই, সেখানকার ক্রেতারা পার্শ্ববর্তী জেলা বা কাছাকাছি শাখা থেকে অর্ডার করেন। অনেক সময় ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জামও অর্ডারে তৈরি করে দেয় কোম্পানিটি।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের লকার কোম্পানি থাকলেও নিরাপত্তার দিক থেকে ক্রেতারা গোদরেজকে এগিয়ে রাখেন। কারণ যেকোনো সমস্যায় গোদরেজ দ্রুত সাড়া দেয় এবং বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করে।
এই নিরাপদ সিন্দুক প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এটি শুধু লোহা দিয়ে তৈরি। কিন্তু আসলে তা নয়। লোহার পুরু আস্তরণের পর রয়েছে কার্বনের স্তর, যা অতিক্রম করলে পাওয়া যাবে ঢালাইয়ের আরেকটি স্তর। তিন উপাদানের পুরু স্তরবিশিষ্ট এই সিন্দুক ভেঙে ফেলা সহজসাধ্য নয় মোটেই।
গোদরেজ সিকিউরিটি সলিউশনের বাংলাদেশের প্রধান শাখা ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে। এলিফ্যান্ট রোডের স্টার হোটেলের পেছনে কিছু দূর এগোলেই বড় বড় হরফে লেখা গোদরেজ সিকিউরিটি সলিউশনের নাম দেখা যাবে।
এছাড়াও গুলশান, বনানী ও বংশালে তাদের অন্যান্য আউটলেট রয়েছে। গুগল ম্যাপে 'গোদরেজ সিকিউরিটি সলিউশন' লিখে সার্চ করলেই সহজেই লোকেশন পাওয়া যাবে।

ডিজিটাল লকার হাউস
ডিজিটাল লকার হাউস বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ডিজিটাল লকার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮০ সালে হাজী শফিকুল ইসলামের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তখনকার দিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিবেচনায় যেসব জিনিস তৈরি হতো, পরে তা সময়ের সাথে সাথে বদলায়।
নিত্যনতুন নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরির ধারাকে শফিকুল ইসলাম ধরে রাখতে পেরেছিলেন। আস্তে আস্তে ব্যবসা বড় হতে থাকে। নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে ডিজিটাল লকার হাউস ৪৫ বছর ধরে নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করে চলেছে।
অল্প পুঁজি আর অনেকটা আশঙ্কা নিয়ে ডিজিটাল লকার হাউস শুরু করেছিলেন শফিকুল। শুরুর দিকে ছিল না কোনো কারখানা। নানা জায়গা থেকে সরঞ্জাম ক্রয় করে বিক্রি করতেন দোকানের মালিক। বর্তমানে কোম্পানিটি নিজেদের কারখানায় নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরি করে।
সারা বাংলাদেশে মোট ১২টি আউটলেট রয়েছে তাদের। তবে মূল আউটলেটটি ঢাকার বনানীতে। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্ক টাওয়ারের নিচতলায় এ আউটলেটটি অবস্থিত। এছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও দুটি শোরুম রয়েছে উত্তরা এবং মতিঝিলে।
ডিজিটাল লকার হাউস ১৭ ধরনের আগুন ও পানিপ্রতিরোধী ডিজিটাল লকার বিক্রি করে। এসব লকারের আকার, দাম, রাখার জায়গা ও নিরাপত্তার স্তর আলাদা। ডিজিটাল লকার হাউসের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হচ্ছে সিইকিউ সেফের এফজি-৩১ডিডি মডেল। মজবুত ইস্পাতে তৈরি এই লকারে উন্নত ডিজিটাল লকিং সিস্টেম রয়েছে।

এছাড়া আছে গারুদা ২৭ একটি ফায়ারপ্রুফ ডিজিটাল লকার, যা আগুন থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এতে রয়েছে মেটাল ব্রাস এবং দ্বৈত তালা-চাবি ব্যবস্থা। গারুদা ২৭-এর স্টিলশীটের বডি মূল্যবান সামগ্রীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
আর ইস্পাতের তৈরি টাইগার কিং ব্র্যান্ডের লকারটি ইলেকট্রনিক কীপ্যাড লক এবং জরুরি ওভাররাইড কীসহ ডুয়াল আনলকিং সিস্টেম প্রদান করে। এটি একই সঙ্গে চুরি ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধী। এছাড়া, প্রি-ড্রিলড হোলের মাধ্যমে সহজ ইনস্টলেশন সুবিধাও রয়েছে।
ডিজিটাল লকার হাউসের ট্রাডিশনাল লকার প্রাথমিক মানের নিরাপত্তা দেয়। এই লকারগুলোর দাম ২৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে। চিরায়ত এসব লকার বাসাবাড়ির জন্য বেশ উপযোগী, তবে অফিস কিংবা ব্যাংকের জন্য নয়।
ডিজিটাল লকার হাউসে আড়াই হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এই কোম্পানিটি তাদের নিরাপত্তা পণ্যের ১-১০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। এছাড়া, অনলাইনে ফ্রি ডেলিভারিসহ যেকোনো সমস্যায় তাদের হেল্পলাইনে ফোন করে সহায়তা নেওয়া যায়।
রিফাত স্টিল হাউজ
কম দামে যদি প্রাথমিক স্তরের নিরাপত্তা চান, তবে আপনার ভরসা হতে পারে লকার তৈরির খুচরা দোকানগুলো। এর মধ্যে অন্যতম মালিটোলা ইংলিশ রোডের রিফাত স্টিল হাউজ।

স্টিলের আলমারি, স্টিলের খাটসহ নানা আসবাবপত্রের পাশাপাশি এ দোকানটি অর্ডারভিত্তিক লকারও তৈরি করে। ১৮ গেজ ও ২০ গেজ স্টিলের পাত দিয়ে এসব লকার তৈরি হয়ে থাকে।
৪ ফুট উচ্চতা ও ৩ ফুট চওড়া (৪ ফুট বাই ৩ ফুট) এই লকারগুলোর দাম ১৮-২০ হাজার টাকা হতে পারে। ক্রেতা চাইলে ইচ্ছেমতো মাপের লকার অর্ডার দিতে পারেন, তবে ৪ ফুট বাই ৩ ফুট মাপটিই বেশি জনপ্রিয়।
দোকানটির স্বত্বাধিকারী জিএম ফারুক হোসেন জানান, জুয়েলারির দোকান ও বাসাবাড়ির জন্য অনেকেই এমন লকার তৈরি করিয়ে থাকেন। তবে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতটাও মজবুত নয়। বড়সড় অস্ত্রের আঘাতে এই লকার ভেঙে ফেলা সম্ভব।
যুগের চাহিদার সাথে বদলেছে মানুষের চাওয়া-পাওয়া। ভোক্তাদের আচরণ অনুযায়ী আধুনিকায়ন করা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। অপরাধপ্রবণতা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে তৈরি হচ্ছে সংশয়।
সেই থেকেই জীবন ও সম্পদ রক্ষায় এইসব নিরাপত্তা সরঞ্জামের উত্থান ও বাজারীকরণ। যেহেতু নিরাপত্তা সরঞ্জামের সাথে মানুষের জীবনের মতো অমূল্য বিষয় জড়িত, তাছাড়া এইসব পণ্য একবার দাম দিয়ে কিনলে অনেক বছর টিকে যায়, তাই দামের কথা না ভেবে নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া সমীচীন।
ছবি: অনুস্কা ব্যানার্জী/টিবিএস