পেট্রোল ও হাইব্রিড যানবাহনের জন্য মবিল ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক ইঞ্জিন অয়েল আনল এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি

পেট্রোল ও হাইব্রিড ইঞ্জিনের জন্য সর্বাধুনিক ফুল-সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল 'মবিল সুপার অল-ইন-ওয়ান প্রোটেকশন জিরোডব্লিউ-১৬' বাজারে এনেছে এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি। আধুনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তি, জ্বালানি সাশ্রয়ের প্রয়োজন এবং পরিবেশগত সচেতনতার কারণে বাজারে লো ভিসকোসিটির ইঞ্জিন অয়েলের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।
সাধারণ মিনারেল অয়েলের তুলনায় ফুল-সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েলের গঠন অনেক উন্নত, যা দ্রুত লুব্রিকেশন নিশ্চিত করে এবং ইঞ্জিনকে দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা দেয়। টার্বোচার্জার, ডাইরেক্ট ইনজেকশন ও ভেরিয়েবল ভালভ টাইমিং (ভিভিটি) যুক্ত আধুনিক ইঞ্জিনগুলো উচ্চ তাপ ও চাপে কাজ করে। বিশেষ করে হাইব্রিড গাড়িতে স্টার্ট-স্টপ অপারেশনের ফলে ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা লো ভিসকোসিটি ও সুসংহত আণবিক গঠনের সিনথেটিক অয়েল ছাড়া সুরক্ষিত রাখা কঠিন।
এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রযুক্তি ও গবেষণার সমন্বয়ে তারা বাজারে আধুনিক চাহিদা পূরণে সক্ষম পণ্য সরবরাহ করে আসছেন। তিনি বলেন, 'গত ১৫০ বছর ধরে মোবিল বিশ্বজুড়ে আস্থার প্রতীক। বাংলাদেশেও গত ২৮ বছর ধরে আমরা বিশ্বমানের মান নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে মোবিল পণ্য বাজারজাত করছি। আমাদের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন লুব অয়েল ব্লেন্ডিং প্ল্যান্ট ও ল্যাব সুবিধা।'
তিনি জানান, নতুন ইঞ্জিন অয়েলটি একই সঙ্গে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স বাড়াতে, জ্বালানি খরচ কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। আধুনিক গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে ৫ডব্লিউ-৩০, জিরোডব্লিউ-৩০ এবং জিরোডব্লিউ-১৬ ভিসকোসিটির অয়েল ব্যবহারের সুপারিশ করছে।
তবে কেবল ভিসকোসিটি গ্রেড নয়, অয়েলের ফর্মুলেশন, গবেষণা, বেস অয়েলের গুণমান এবং অ্যাডিটিভের মানও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। মবিল সুপার অল-ইন-ওয়ান প্রোটেকশন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড আইএলএসএসি জিএফ-সিক্সবি ও এপিআই এসপি অনুসারে তৈরি, যা উচ্চ জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া ও যানজটপূর্ণ সড়কের জন্য এই অয়েল কতটা কার্যকর—এমন প্রশ্নে মুকুল হোসেন বলেন, 'আমাদের দেশে রাস্তা ও আবহাওয়ার চাপ ইঞ্জিনের ওপর বেশি পড়ে। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে হিট এক্টিভেটেড এন্টি-ওয়্যার মলিকিউল টেকনোলজি ব্যবহার করে এই অয়েলটি তৈরি করা হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রযুক্তির অয়েল ইঞ্জিনের ক্ষয় রোধে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে।'
তিনি আরও জানান, এই অয়েল শুধু ক্ষয় রোধই করে না, বরং ইঞ্জিনকে অভ্যন্তরীণভাবে পরিষ্কার রাখে এবং ময়লা, গাদ বা সুট জমতে দেয় না।
জ্বালানি সাশ্রয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সঠিক গ্রেড ও মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে ইঞ্জিন কম শক্তি খরচে বেশি পারফর্ম করে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে জ্বালানি খরচে। এই অয়েলের প্রোপারাইটারি ফর্মুলেশন ভিসকাস ড্র্যাগ কমিয়ে দেয়, ফলে সর্বোচ্চ মাইলেজ পাওয়া যায়।'
এসইউভি, এমপিভি এবং হাইব্রিড গাড়ির জন্য এটি উপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'হাইব্রিড গাড়িতে স্টার্ট-স্টপ অপারেশন বেশি হয়, ফলে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত লুব্রিকেশন দিতে সক্ষম মবিল সুপার অল-ইন-ওয়ান প্রোটেকশন।'
তিনি বলেন, 'বর্তমানে দেশে উন্নত পেট্রোল ও হাইব্রিড ইঞ্জিনচালিত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। এসব গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সময়মতো সঠিক গ্রেডের মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। এই অয়েল সে প্রয়োজন পূরণে একটি পরিপূর্ণ ও কার্যকর সমাধান।'