ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির হত্যার বিচার দাবিতে ডাকা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে আজ থেকে বিভাগীয় শহরগুলোতেও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ২টা থেকে শাহবাগে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১টার মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা মোড়ে এসে উপস্থিত হন। তারা শাহবাগ মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
এদিন বেলা ১১টায় বিক্ষোভ ও অবস্থানের ঘোষণা থাকলেও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিবৃতি থাকায় তা পিছিয়ে দুপুর ২টায় নেওয়া হয়।
এর আগে, গত রাতে (২৭ ডিসেম্বর) পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলী বিক্ষোভস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বিক্ষোভকারীদের ন্যায়বিচারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দিয়ে বলেন, সরকার হত্যাকাণ্ডের পেছনের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে পারে এমন বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, 'এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে অনেকে জড়িত থাকার কথা। আমরা এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত, তা উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূলে যারা রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।'
এদিকে, ডিএমপি আজ স্বীকার করেছে, ওসমান হাদিকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়ে গেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিজয়নগরের বক্সকালভার্ট রোড দিয়ে অটোরিকশা যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান হাদি।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়াে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।
এই ঘটনায় প্রথমে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হলেও পরবর্তীতে সেটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।
