সিলেট-৫: জমিয়তকে ছাড় দিতে নারাজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিএনপির মামুনের
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর সিলেট-৫ আসন (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) জোটসঙ্গী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তকে চারটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি। সিলেট-৫ আসনে প্রার্থী হবেন জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।
তবে দলের এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মামুনুর রশিদ। স্থানীদের কাছে যিনি চাকসু মামুন নামে পরিচিত। সিলেট জেলা বিএনপির প্রথম সহ-সভাপতি মামুন সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছেন তিনি।
সিলেটের অন্য ৫টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেও এতদিন সিলেট-৫ আসনটি খালি রেখেছিল বিএনপি। এই আসন জোটসঙ্গী জমিয়তকে ছাড়া হতে পারে আলোচনা ছিল।
অবশেষে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণাই দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় জমিয়তের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ফখরুল জানান, এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
তবে সিলেট-৫ আসনে ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় বিএনপি।
সিলেট-৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মামুনর রশিদ।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মামুনুর রশীদ বলেন, আমি নির্বাচন করবো এটা চূড়ান্ত। মনোনয়ন ফরম কিনেছি, জমাও দেবো। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো চিন্তা নেই। আমি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। এখন আর নির্বাচন না করার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছরে বিএনপির কোনো নেতা এ আসনে দলের মনোনয়ন পাননি। সর্বশেষ ২০১৮ সালেও এ আসনে জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুককে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন)। তাই এবার তিনি ছাড় দিতে নারাজ। দলীয় নেতাকর্মীরাও নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক চান।
