‘জনতার ইশতেহার’: নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে জনগণের মতামত চাইল জামায়াত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে সাধারণ মানুষের সরাসরি মতামত নেওয়ার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 'জনতার ইশতেহার' নামের এই কর্মসূচির আওতায় আগামী সাত দিন ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশবাসীর কাছ থেকে জাতীয় ও স্থানীয় নীতিমালার বিষয়ে পরামর্শ সংগ্রহ করবে দলটি।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। জামায়াতের নির্ধারিত ওয়েবসাইট www.janatarishtehar.org এবং অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নাগরিকরা তাদের মতামত, সমস্যা ও প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন। শুধু লিখিত নয়, অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমেও মতামত জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য সম্পর্কে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইশতেহার প্রণয়নে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই সীমিত। আমরা সেই ধারা পরিবর্তন করতে চাই। জনগণকে শুধু ভোটার নয় বরং ইশতেহারের সহলেখক হিসেবে যুক্ত করাই জনতার ইশতেহার কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।'
মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, এই কর্মসূচিটি তিনটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর পরিচালিত হবে। প্রথমত, জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ: যেখানে নাগরিকরা অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করবেন।
দ্বিতীয়ত, অনলাইন ইশতেহার প্রযুক্তিনির্ভর ও তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ, যার মাধ্যমে সংগৃহীত মতামতগুলো শ্রেণিবিন্যাস, মূল্যায়ন ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে অনলাইনে ইশতেহার প্রকাশ করা হবে।
তৃতীয়ত, ডিজিটাল প্রমিজ ট্র্যাকার, যেখানে ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি ভবিষ্যতে জনসম্মুখে উপস্থাপনের ব্যবস্থা থাকবে। এর আওতায় একটি দ্বি-স্তরীয় ইশতেহার কাঠামো গড়ে তোলা হবে- একটি জাতীয় সমন্বিত ইশতেহার এবং অন্যটি সংসদীয় আসনভিত্তিক বা স্থানীয় ইশতেহার।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংগৃহীত সব মতামত বিশ্লেষণ করে একটি পরিমাপযোগ্য, সুনির্দিষ্ট এবং সময়াবদ্ধ কাঠামোর ভিত্তিতে চূড়ান্ত ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে। জামায়াত আশা করছে, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
