তারেকের দেশে ফেরার তথ্য নেই; হাসিনাকে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত ইতিবাচক সাড়া দেয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরে সরকারি সফরে এসে সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা তো চেয়েছি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হোক, যেহেতু তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি—সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে শাস্তি দিয়েছেন। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট [অনুমান] না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়।'
'তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি', যোগ করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, উনার স্ত্রী আজ সকালে দেশে এসেছেন। আর বিমানের কারিগরি ক্রটির কারণে বেগম জিয়াকে আজ নেয়া হচ্ছে না, বিদেশ নিতে এক-দুইদিন দেরি হতে পারে, আপনারা জানতে পারবেন সেটা।
রংপুর অঞ্চলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন জানান, চীনের সহায়তায় নীলফামারী জেলায় ১০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল হবে। তিনি বলেন, 'এটা ঢাকায় করার অনেকের চেষ্টা ছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, ঢাকায় তো অনেক কিছুই আছে। উত্তরবঙ্গে অনেক কিছুরই শর্টেজ (ঘাটতি) আছে। তাই হাসপাতালটা ওখানে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই হাসপাতালটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে শুধু নীলফামারী নয়, পুরো অঞ্চলের মানুষ সেবা পায়। এমনকি ভুটান বা ভারত থেকেও চিকিৎসার জন্য রোগীরা আসতে পারেন। কারণ ভারতের এই অঞ্চলে খুব ভালো ফ্যাসিলিটিজ নেই।'
আগামী ফেব্রুয়ারিতে সঠিকভাবে নির্বাচন হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের সময় খুবই সীমিত। আমরা আশা করছি যে খুব সঠিকভাবে নির্বাচন হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারিতে। এবং আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দেশের ভার দিয়ে সরে যাব।'
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা গত এক-দেড় বছর যাবত চেষ্টা করছি একটা পথনির্দেশ তৈরি করতে, যেটা আমাদের পরে যারা আসবেন, তাদের সহায়তা করবে। অনেকে আশা করছিলেন আমরা সব রিফর্ম (সংস্কার) করে দিয়ে যাব, সেটা আসলে সম্ভব না। রিফর্ম অনেক দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। আমরা শুরুটা করে দিয়ে যাব।'
তিনি আরও বলেন, 'বাকিটা... যেটা জনগণের উপকারে আসবে বা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে, সেটা যারাই পরে ক্ষমতায় আসবেন, তারা সেখান থেকে সরে যাবেন না—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।'
