বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বাড়াতে আগ্রহী পোলিশ ব্র্যান্ড এলপিপি এস.এ.
পোল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এস.এ. বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং আরও বাড়ানোয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রোববার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান এলপিপির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা।
বিজিএমইএ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলপিপি বিশেষ করে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেন্স আন্ডারওয়্যার ও জগারস ধরনের পণ্যের সোর্সিং বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়।
বৈঠকে জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, "বাংলাদেশ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে চাই এবং সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, "বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এলপিপি গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা। সোর্সিং বাড়ানো এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।"
বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব, সাপ্লাই চেইনের স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে আরএসসি–এর আওতায় এনে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষই বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের সঙ্গে এলপিপির কৌশলগত, দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
বর্তমানে এলপিপি এস.এ. বছরে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে তাদের অন্যতম বৃহত্তম সোর্সিং হাব হিসেবে বিবেচনা করে।
বৈঠকে বিজিএমইএ'র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, মো. হাসিব উদ্দিন, নাফিস–উদ–দৌলা ও জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
