খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল এও বলেন, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
আজ বিকেলে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালেও তিনি একেই কথা বলেন।
এর আগে, দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এখনো নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তিনি ট্রাভেল পাসও চাননি। চাওয়া মাত্রই তা ইস্যু করা হবে এবং তাকে দেশে ফিরতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
গত ২৩ নভেম্বরের থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গতকাল রোববার রাতে শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য চীনের ৫ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল গতকাল ঢাকায় এসেছে। আজ যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আসছেন বলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া ২৭ নভেম্বর থেকে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ডাক্তারেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেই চিকিৎসা উনি গ্রহণ করতে পারছেন।'
তিনি বলেন, 'কাজেই বিভিন্ন ধরনের গুজব, বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য বিভিন্ন জায়গায় দেখার পরিপ্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে উনার চিকিৎসার তদারকি করছেন। চিকিৎসার সমস্ত বিষয়ে উনি দেশে-বিদেশে চিকিৎসকদের সাথে আমাদের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন।'
তারেক রহমান এক–এগারোর পর ২০০৮ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। তারপর আর তিনি দেশে ফেরেননি। বিদেশে থেকেই দল পরিচালনা করে আসছেন।
