খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনো ‘ক্রিটিক্যাল’, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চীনের ৫ সদস্যের চিকিৎসক দল
ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণে সংকটাপন্ন অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'বেগম জিয়ার অবস্থা আবারও ক্রিটিক্যাল, গতকাল রাত থেকে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে৷'
এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য চীনের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দেশটির একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল টিম আজ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
এর আগে গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা করতে চীনের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
বিএনপির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বন্ধুপ্রতীম কয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন।
আহমেদ আজম সাংবাদিকদের বলেন, 'কাল গভীর রাত থেকে ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে চলে গেছেন। ফাইট করছেন তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য। এখনও অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনেই উনি আছেন...এখনও বলবার মতো কোনো কন্ডিশনে উনি আসেন নাই। ...বলা যায়, উনি খুব ডিপ কন্ডিশনে...আমি ঠিক ডিপ কন্ডিশনের ব্যাখ্যাটা আপনাদের কাছে দিতে চাই না। এটুকুই বলতে চাই, উনি খুব ডিপ কন্ডিশনেই আছেন। এটাকে আপনার ভেন্টিলেশনও বলতে পারেন বা খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনও বলতে পারেন।'
এর আগে আজ দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রেজা কিবরিয়ার বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'শুধু এটুকু বলতে পারি যে তিনি অসুস্থ, এবং আমাদের চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। দেশি-বিদেশি সব চিকিৎসককে যুক্ত রেখেই চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।'
এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য গণমাধ্যমে উপস্থাপন করবেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। 'অতএব, অযাচিত, যাচাইবিহীন বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।'
গত ২৩ নভেম্বরের থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে নিবিড়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
