ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল: সিইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জনাব এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ শনিবার (২৯ নভেম্বরর) বেলা ১১টায় মক ভোটিং পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে মক ভোটিং দেখতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছান সিইসি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "তফসিল আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তারিখগুলো তখনই জানতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার সময়ই সব জানানো হবে। হোপফুলি ইট উইল বি ইন দ্য সেকেন্ড উইক অফ ডিসেম্বর।"
সিইসি বলেন, "কোনো অসুবিধা নেই, ইনশাল্লাহ হবে না। আমরা যেই প্রতিশ্রুতি জাতিকে দিয়েছি, তা যথাসময়ে পূরণ করব। আমরা চাই নির্বাচন সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে হোক—আজকের মক ভোটিং যেমন হয়েছে, ঠিক সে রকম একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, "সাংবাদিকরা কেন্দ্রের ভেতরে থাকতে চাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আপনারাই দেখলেন—একটি কক্ষে এজেন্ট, পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, ভোটার—সবাই থাকেন। এরপর আবার দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও আসবেন। সেখানে যদি সাংবাদিকরাও ভিড় করেন, ধাক্কাধাক্কি হয়, তাহলে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এই পরিস্থিতি এড়াতে আমরা বলছি—নিজেদের বিবেচনা প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সেরে বেরিয়ে যেতে হবে। এটি আপনাদের কাজ বাধাগ্রস্ত করার জন্য নয়, বরং কেন্দ্র পরিচালনার স্বার্থে। আজই এর মূল্যায়ন করা হবে।"
গণভোট প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, "গণভোট নিয়ে প্রচারণা এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে। তখনই বোঝা যাবে মানুষ কতটা জানল। গত মঙ্গলবার অধ্যাদেশ হয়েছে, আইন পাস হয়েছে—এ আইনই আমাদের গণভোট পরিচালনার ক্ষমতা দিয়েছে। আইন দ্বারা অনুমোদন পাওয়ার পরই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজে নেমেছি।"
তিনি বলেন, "তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে প্রচারণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরাও থাকব। সবাই মিলে ব্যাপক প্রচারণা হবে।"
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আপনারাও এই দেশের নাগরিক। আপনাদেরও দায়িত্ব আছে গণভোটের বিষয়গুলো প্রচার করার। মিডিয়ার সদস্য হিসেবে আপনাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে—এই রেফারেন্ডাম (গণভোট) এবং এর ইস্যুগুলো জনগণকে জানাতে।"
তিনি আরও বলেন, "রেফারেন্ডামে কী বিষয় আসছে—আপনারাও সেটি প্রচার করবেন। আমাদের পক্ষ থেকেও খুব শিগগিরই বিস্তৃত প্রচারণা শুরু হবে।"
সিইসি বলেন, "যদি প্রয়োজন হয় ভোটকেন্দ্র বাড়াব। এর আগে আমরা হিসাব করে দেখেছিলাম—একজন ভোটারকে ভোট দিতে কত সময় লাগে। আজ আমরা রিয়েল-টাইম অ্যাসেসমেন্ট করব। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র বাড়ানো হবে। এখানে খরচ বড় বিষয় নয়—সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"
"যদি দেখা যায় বুথ বাড়ানো দরকার, সেটিও করা হবে। ভোটারকে কষ্ট দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়," যোগ করেন তিনি।
এর আগে, আজ সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটের মহড়া হিসেবে মক ভোটিং শুরু হয়। বেলা ১২টা পর্যন্ত এই ভোট চলার কথা রয়েছে। নারী-পুরুষ মিলে মোট ৫১০ জন ভোটার এতে অংশ নিয়েছেন।
