‘আইন সবার জন্য সমান’—সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদন প্রসঙ্গে ট্রাইবুনাল
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৩ সেনা কর্মকর্তার ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রোববার (২৩ নভেম্বর) এই আবেদনের শুনানিকালে ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করেন, আইন সবার জন্যই সমান।
এদিন অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সশরীরে আদালতে হাজির করা হলেও ভবিষ্যতে তাদের ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মেজবাহ।
শুনানির এক পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করেন, 'আইন সবার জন্য সমান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের আসামি হিসেবে এই আদালতে হাজির করা হয়েছে। ওনারা (সেনা কর্মকর্তারা) কি তাদের বাইরে?'
আদালত তাৎক্ষণিকভাবে এই আবেদনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে জানান, পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
সশরীরে হাজির করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে তা আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেন, 'আপনারা এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করব।'
এর আগে আজ সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে আইসিটিতে হাজির করা হয়।
সকাল ১০টার কিছু পরে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সাব-জেল থেকে একটি বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে পুলিশ ওই কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসে। এরপর প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
পরে শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সাবেক হাসিনাসহ এই সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুই মামলার একটির অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ডিসেম্বর ও অন্যটির ৭ ডিসেম্বর।
