যত চ্যালেঞ্জ হোক, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করবে ইসি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, 'যত চ্যালেঞ্জ হোক না কেন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করবে ইসি। সামনে আগানো ছাড়া আমাদের কোন পথ নেই।'
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে 'এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস' (এএনএফআরইএল)-এর কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গণভোটের বিষয়ে সিইসি বলেন, 'গণভোট আয়োজন করার চিঠি পেয়েছি। এখন আইন হলে বলতে পারবো কিভাবে গনভোট হবে।' তিনি জানান, আগামী সপ্তাহেই গণভোট আইনটি পাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন পাশ হলে, সেই আইন অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করবে। আইন না হওয়া পর্যন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করতে পারবে না। তিনি আরও জানান, গণভোট হলে চারটি পয়েন্টেই 'হ্যাঁ' অথবা 'না' ভোট হবে। তবে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই কমিশনের প্রধান এজেন্ডা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কমিশনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও সহযোগিতা করতে হবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, অতীতে মৃত ব্যক্তির নামেও অনেকে ভোট দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।
নির্বাচনে প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ নিয়ে নাসির উদ্দীন বলেন, এবারের নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচার রোধ করা কঠিন হবে। তিনি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যদি সমঝোতা ও সহযোগিতামূলক হতো, তবে কমিশনের কাজ আরও সহজ হতো।
পোস্টাল ভোটিং সুবিধা নিয়ে সিইসি জানান, যাচাই-বাছাই ছাড়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই সুবিধা দেওয়া যাবে না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অন্য দেশের লোকেরাও বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করার নজির রয়েছে।
পরিশেষে তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে কমিশনের প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিশন প্রস্তুত।
