'অস্বচ্ছ চুক্তিতে নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর', উদ্বেগ চট্টগ্রামের জামায়াত নেতার
অস্বচ্ছ ও গোপন চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যত বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগকে দেশীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনাল হেড মুহাম্মদ শাহজাহান।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির মুহাম্মদ শাহজাহান বিবৃতিতে বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। আবার দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মত স্পর্শকাতর ইস্যুও চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে তাড়াহুড়ো প্রবণ, অস্বচ্ছ ও গোপন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাই করতে চাচ্ছে। কোনো দরপত্র ছাড়াই পতিত স্বৈরাচারের আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পৃক্ত এক বিদেশি কোম্পানিকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনএসটি) তুলে দেওয়ার যাবতীয় ষড়যন্ত্র চলমান।'
বিবৃতিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'এছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি টার্মিনালের বিষয়েও সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্তে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।'
বিবৃতিতে জামায়াত নেতা সরকারের প্রতি তিনটি প্রস্তাবও পেশ করেন। দেশীয় ব্যবস্থায় বন্দর উন্নয়ন সম্পন্ন করতে হবে। একান্ত প্রয়োজন হলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আনা যেতে পারে। তাও যদি সম্ভব না হয়, তবে বিদেশি অপারেটরকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অবশ্যই আন্তর্জাতিক দরপত্রের নীতিমালা অনুসরণ করে জনগণকে অবহিত করেই চুক্তি করতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি সতর্ক করে বলেন, 'কোনো গোপন চুক্তি কিংবা দরপত্রবিহীন অবৈধ চুক্তি করলে জনঅসন্তোষ তৈরি হবে যার সমুদয় দায়ভার সরকারের ওপর বর্তাবে।'
