বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা
বাজারে আগাম জাতের নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। তবে এসব আলু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজি নতুন আলু খুচরা বাজারে মিলছে ২০০ টাকা দরে। যা দুইদিন আগেও ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। তবে পুরাতন আলু কেনা যাচ্ছে ২৫ টাকায়।
ধনেপাতার দামও ক্রেতাদের বাজেটে চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। পিঠা বিক্রেতা এক ক্রেতা বলেন, "ধনেপাতা তো এখন প্রায় বিলাসপণ্য হয়ে গেছে। যা কেনা সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।"
আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) এমন চিত্রই দেখা গেছে রাজধানীর নিউমার্কেট, হাতিরপুল, লালবাগের খুচরা বাজারগুলোতে।
অন্যদিকে শীতের সবজি আসা শুরু করলেও দামে তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি, দেশি গাজর ১২০ টাকা, চায়না গাজর ১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১২০ টাকা, শিম ১৩০-১৪০ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ১২০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মূলা ৫০-৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে।
ধনেপাতায় চলছে সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা। মানভেদে ধনেপাতা কেজি ২০০–২৫০ টাকা, যা গত কয়েক দিনের তুলনায়ও বেশি।
বিক্রেতাদের দাবি, রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে ঢাকায় সবজি বোঝাই ট্রাক কম এসেছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম বাড়ে, আর তার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে।
অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১১৫ টাকা এবং হাইব্রিড পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে মিললেও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন কাল থেকে বাড়তে পারে দাম।
নিউ মার্কেটের সবজি ব্যবসায়ী তারেক বলেন, আজকেও আমরা পেঁয়াজ পাইকারি থেকে ২-৩ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছি। এতে না পোষালে কাল থেকে দাম বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
অন্য সময়ের মতো তেমন পরিবর্তন আসেনি মুদিপণ্যের দামে। কিসমিস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, আলুবোখারা ৭০ টাকা, এলাচ ৪,৮০০–৫,০০০ টাকা, লবঙ্গ ১,৭০০–১,৮০০ টাকা, জিরা ৬৫০–৭০০ টাকা, আর সাদা গোলমরিচ ১,৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ। দেশি আদা মিলছে ১৪০ টাকায়, চায়না আদা ১৮০ টাকায়। দেশি রসুন ১০০–১৯০ টাকা, আর চায়না রসুন ১৭০ টাকায়। দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৫০–১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ৯০–১০০ টাকা, আর বুটের ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল ৮০ টাকা, পোলাও চাল ১২০–১২৫ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৫ টাকা, আর সুপার তেল ১৭০–১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দেশী মাছ বাজারে আসলেও তার প্রভাব পড়েনি দামে।
অন্যান্য মাছের মধ্যে পাঙ্গাস কেজি ১৮০-২০০ টাকা, রুই ৩২০-৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০- ৪০০ টাকা, কালবাউশ ৩৫০- ৪০০ টাকা, কৈ ১৮০-২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৫৫০ টাকা, বেলে মাছ ৯০০-১২০০ টাকা এবং তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।
এছাড়াও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি কক ৩০০-৩৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১৩৫ টাকা এবং সাদা ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
