ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫০ বকুল গাছ কাটার দায়ে চা বিক্রেতা গ্রেপ্তার
'আবর্জনার মতো লাগে'—এমন অদ্ভুত যুক্তিতে কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে থাকা অর্ধশত বকুলগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় এক চা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. আজমির হোসেন (৩৭)। এ ঘটনায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম জানান, শনিবার রাতে বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজমিরের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে হলেও তিনি বেলতলী এলাকায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে একটি চায়ের দোকান চালান। কেটে ফেলা ৯ বছরের বেশি বয়সী বকুলগাছগুলো মহাসড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সওজের উদ্যোগে লাগানো হয়েছিল।
মামলার বাদী ও সওজের কার্যসহকারী রুহুল আমিন জানান, বেলতলীতে শিশু হাসপাতালের সামনেই এক জায়গায় ১৭টি গাছ কাটা হয়েছে। বাকি গাছগুলো আশপাশের এলাকা থেকে কাটা হয়।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, যেসব স্থান থেকে গাছগুলো কাটা হয়েছে, সেখানে দ্রুতই নতুন করে গাছ রোপণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পর সৌন্দর্যবর্ধন এবং এক লেনের গাড়ির হেডলাইটের আলো অন্য লেনে পড়া ঠেকাতে বিভাজকের ওপর বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়কের ১৪৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বকুল, কাঞ্চন, কৃষ্ণচূড়া, সোনালুসহ প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ফুলের গাছ এবং জলপাই, অর্জুন, নিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও ৪০ হাজার গাছ লাগানো হয়। এর মধ্যে কুমিল্লার বেলতলী এলাকাটি সারিবদ্ধ বকুলগাছে সজ্জিত ছিল।
