ছাত্রদের মারধর ও যৌন হয়রানি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ছাত্রদের মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাবি অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান মিলন।
আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামি ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছেলেদের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে তাদের সাথে অস্বাভাবিক যৌনসঙ্গম করেছে। বাদী কৌশলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন দিয়ে আসামি কর্তৃক বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে শারীরিক নির্যাতনের অডিও, ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারন করেন। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তারকৃত আসামি এ মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকার যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও বাদীর এজাহারের সত্যতা উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে শেওড়াপাড়ায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী মিরপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, ছাত্রদের বাসায় নিয়ে ঢাবির রসায়ন বিভাগের এ অধ্যাপক যৌন হয়রানিসহ মারধর করেন।
