হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণা, আ.লীগের 'লকডাউন' ঘিরে ঢাকায় সক্রিয়তা বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুরোনো দৃশ্য ফিরে এলো রাজধানীতে। মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি, এপিসি ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান, পুলিশ, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর টহলদারি চোখে পড়ছে। পাশাপাশি, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মোড়ে মোড়ে জড়ো হয়ে লাঠি মিছিল করছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের (আইসিটি) আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগের 'লকডাউন' কর্মসূচি কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, সায়দাবাদ, আমিনবাজার, গাবতলী ও উত্তরাসহ ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এসব স্থানে পুলিশ অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলকারী নাগরিকদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
হাইকোর্ট এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের কার্যালয় রয়েছে। সেখানে বিজিবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান মোতায়েনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহলদলও কাজ করছে।
ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল কমে গেছে, বিশেষ করে খুলনা ও বরিশালের দিকে।
বাস মালিকরা বলছেন, 'যাত্রী পেলে গাড়ি যাবে।' তবে বেশিরভাগ গাড়ি চলছে না। খুলনা ও বরিশাল থেকে ঢাকামুখী গাড়িও অনেকটাই বন্ধ রয়েছে।
আইসিটি থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ আজ ঘোষণা করা হবে। মামলার আসামির মধ্যে রয়েছেন— ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। উল্লেখ্য, আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও আওয়ামী লীগ অনলাইনের মাধ্যমে আজ 'লকডাউন' কর্মসূচি ডেকেছে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত তিন দিনে সারা দেশে বাসে আগুন ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে।
