বিসিবির সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: আইনি সহায়তার আশ্বাস ক্রীড়া উপদেষ্টার
নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলমের তোলা যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে সরকার সব ধরনের আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, 'জাহানারা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আইনি পদক্ষেপ নেন, তবে বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে এবং নিশ্চিত করা হবে- জড়িত কেউ যেন শাস্তি এড়াতে না পারে।'
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অভিযোগের তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, 'এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ এ ধরনের কাজ করে পার না পেয়ে যায়।'
এর আগে ইউটিউবে এক ক্রীড়া সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারা জানান, ২০২২ বিশ্বকাপ চলাকালে নিউজিল্যান্ডে থাকার সময় নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জু তাকে কুপ্রস্তাব দেন। একইসঙ্গে মঞ্জুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যৌন হেনস্তা, মানসিক নির্যাতন এবং প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাজে আচরণেরও অভিযোগ তোলেন তিনি।
এ ছাড়া তিনি নারী ক্রিকেটের সাবেক ইনচার্জ তৌহিদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। একসময় তৌহিদ ছিলেন সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী। সাক্ষাৎকারে অভিযোগ জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহানারা।
পেসার জাহানারার দাবি, টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও তার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে নারী বিভাগের সে সময়ের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম চৌধুরীকে বারবার জানানোর পরও তিনি যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল সাময়িক সমাধান করেছেন বলে অভিযোগ করেন জাহানারা।
তিনি আরও জানান, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে বিস্তারিত লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
জাহানারার দাবি, আরও অনেক নারী ক্রিকেটার একইভাবে নির্যাতনের শিকার হন- কিন্তু বিভিন্ন শঙ্কায় মুখ খোলেন না। প্রথম বিভাগের এক নারী ক্রিকেটারের যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার উদাহরণও তিনি তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে বিসিবির সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
