যশোরে রাজনৈতিক এলিটদের মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসর, আসামিরা ভারতে পার হচ্ছে: দুদক চেয়ারম্যান
স্বৈরাচারের দোসর ও বিভিন্ন মামলায় আসামিরা যশোরের রাজনৈতিক এলিটদের সহায়তায় সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, 'যতই দিন যাচ্ছে, ততই দুনীর্তি বাড়ছে। দুনীর্তির ধরন চেঞ্জ হচ্ছে। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়, দুর্নীতি করা যায়—যশোরে এসে এই নতুন দুর্নীতির ধরন শুনলাম। স্বৈরাচারের দোসর হোক, মামলার আসামি হোক, তারা যশোরের রাজনীতির এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হচ্ছে। এটা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের প্রত্যাশা বিঘ্নিত হবে। এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে—সেটা খেয়াল রাখতে হবে।"
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। 'রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ; হবে সোনার বাংলাদেশ' শীর্ষক এ গণশুনানির আয়োজন করে দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়।
শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের উপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ ও কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।
দুর্নীতির কারণেই বিগত সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, 'সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হবে, সেজন্য সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশটাকে ভালো রাখতে সৎ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে। আমরা যদি ১৫ বছরের ইতিহাস দেখি, সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল দুনীর্তি। বিগত সরকারের এই অবস্থা হওয়ার পিছনে ছিল দুর্নীতি। ফলে দুনীর্তিগ্রস্তকে বেছে নিবেন না। সেটিই হবে রাষ্ট্রের প্রতি সুবিচার।
তিনি বলেন, দুদক দুর্নীতি একেবারে নির্মুল করতে পারবে—এটা প্রত্যাশিত না। তবে কমানো যাবে। 'আমরা শুনানির মাধ্যমে জনগণকে কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দিচ্ছি না। আমি দুই পক্ষের মধ্যে সম্পৃক্ততা তৈরি করছি। এতে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে। এই যশোর থেকে ন্যায়ের ও দুর্নীতি মুক্ত যাত্রাটা শুরু হবে।'
শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। শুনানি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।
