গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ অনুমোদন

ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'জুলাই স্মৃতি জাদুঘর'। আর এটি হবে একটি স্বতন্ত্র জাতীয় জাদুঘর।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ, ২০২৫' নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, 'আমরা নীতিগতভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছি। আপনারা জানেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে আমাদের অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন, অনেকের স্থায়ী অঙ্গহানি হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্যই এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।'
আইন উপদেষ্টা জানান, জাদুঘরটি দেশের প্রচলিত কোনো জাদুঘরের অধীন শাখা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন কাঠামো ও প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। জাদুঘর পরিচালনার জন্য নতুন জনবল নিয়োগ, প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারণ ও বাজেট বরাদ্দের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।'
তিনি আরও জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যেই অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের সময় গণভবন থেকে শেখ হাসিনা খুনের নির্দেশ দেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেই স্থানেই গড়ে তোলা হচ্ছে 'জুলাই স্মৃতি জাদুঘর', যেখানে সংরক্ষিত থাকবে গণঅভ্যুত্থানের সময়কার ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র, ভিডিও আর্কাইভ এবং শহীদদের ব্যক্তিগত স্মারক।