বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য ইসিকে বলেছি: মঈন খান

বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিরা যাতে কোনোভাবেই এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সচেতন থাকার জন্য বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সিইসির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত আছেন।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, "ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে নয়, জাতির স্বার্থে এখানে আসা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যে অবস্থায় এসেছি তাতে চেয়ারপার্সনের যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তা নিয়ে বলতে এসেছিলাম। এমন নির্বাচন দিতে হবে যেন বিশ্ববাসী বুঝতে পারে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে আছে।"
তিনি বলেন, "বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ যারা আছেন তারা যেন কোনোভাবেই এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে ইসিকে সচেতন থাকতে বলেছি।"
এ বিষয়ে মঈন খান বলেন, বিগত তিনটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। এসব তাদের দ্বারা হয়েছিল যারা প্রশাসনে থেকে রাজনৈতিকভাবে ভূমিকা রেখেছিল। ১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে পরিবর্তন হবে না এই বিষয়ে আমরা সচেতন করেছি ইসিকে। বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন আগামী নির্বাচনে কোনভাবে অংশগ্রহণ না করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এদেশে ১৫ বছর ধরে অন্যায় হয়েছে। প্রশাসনে দলীয়করণ হয়েছে । সরকারি কর্মকর্তা স্কুল শিক্ষক যারা আছে তাদের ছুড়ে দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। অনেকে সরকারের চাপে অন্যায় করেছে।
নির্বাচনের বিষয়ে মঈন খান বলেন, সাধারণ নির্বাচন একটি দিনে বিরাট কর্মযজ্ঞ। ৩০০ নির্বাচন এলাকায় ৪২ হাজার কেন্দ্র আছে। সরকার থেকে তারা ধার করে নিয়ে আসে। ভোটে ১০ লাখ লোক দরকার তারা কারা। এরা সিভিল, পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে আসেন। বিগত ১৫ বছর প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক তাদের কাজ করবে। তারা যেন বিনা বাঁধায় কাজ করতে পারেন। আমরাা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রাম এবং ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে এই অবস্থায় এসেছি। নির্বাচন কমিশনকে বলেছি তারা যেন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের দায়িত্ব।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাব মঈন খান বলেন, "গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোঅলিশন একটি স্বীকৃত পন্থা। এটা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বেই এই প্রক্রিয়া চালু আছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এখনো ওপেন রয়েছি। আমরা সময়মত এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করবো।"