Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
October 22, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, OCTOBER 22, 2025
তিস্তা ফিরল রাজনীতির মাঠে: মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কতদূর এগোবে বিএনপি?

বাংলাদেশ

আকরাম হোসেন
21 October, 2025, 11:25 pm
Last modified: 21 October, 2025, 11:29 pm

Related News

  • এই সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে; দলীয় লোক বাদ দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি
  • খারাপ তালেবান এখন ভালো তালেবান! ভারতের নতুন চেহারা ও তালেবান প্রেম
  • অর্থনীতির সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে: আমীর খসরু
  • সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি
  • বিএনপির কণ্ঠে ফ্যাসিবাদের সুর শোনা যায়: মিয়া গোলাম পরওয়ার

তিস্তা ফিরল রাজনীতির মাঠে: মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কতদূর এগোবে বিএনপি?

আকরাম হোসেন
21 October, 2025, 11:25 pm
Last modified: 21 October, 2025, 11:29 pm
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই সনদ স্বাক্ষর, রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়েন, জাতীয় নির্বাচন—এসবের মাঝেই আবারও আলোচনায় এসেছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে, নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরুর দাবিতে তিস্তাপাড়ে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ।

'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই' স্লোগানে গত বৃহস্পতিবার রাতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন 'তিস্তা রক্ষা আন্দোলন'-এর প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও দলটি টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে।

তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু টিবিএসকে বলেন, 'তিস্তার পানি শূন্যতায় এ অঞ্চলে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। তিস্তা নিয়ে আমাদের আন্দোলন নতুন না। বহু বছর ধরে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের এ আন্দোলনের সঙ্গে তিস্তা পাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়। আমরা চাই তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা। পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। যতদিন তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে না ততদিন আমারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।'

'তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ'-এর সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী টিবিএসকে বলেন, 'এই আন্দোলন এখন গণজাগরণে রূপ নিয়েছে। ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে।' সরকার যে অর্থ বরাদ্দ দিতে চেয়েছে, সেই অর্থ দিয়ে নভেম্বরের মধ্যে কাজের উদ্বোধনের দাবি জানান তিনি। 

বৈদেশিক ঋণের দরকার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মতো তিস্তা বন্ড চালু করা হোক। তিস্তা পাড়ের মানুষ এই বন্ডে পুঁজি বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।'

তিস্তা মহাপরিকল্পনা

তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বৃহৎ প্রকল্প, যার লক্ষ্য তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ভাঙন রোধ এবং শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। এতে আধুনিক অবকাঠামো, স্যাটেলাইট শহর, কৃষি, নদী খনন ও শাসন, এবং পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তাপাড়ে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দেন। পরে তিনি জানান, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হবে।

তিস্তাপাড়ে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি। ফাইল ছবি

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তিস্তা নদী সংলগ্ন প্রস্তাবিত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গভীর কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং তা সুবিধাজনক শর্তে হওয়া উচিত।

গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, 'বিনিয়োগকারীদের উচিত স্থানীয় সম্প্রদায়কে সমর্থন দেওয়া, নয়তো নিয়ম-কানুনের দুর্বলতাকে শোষণ করা। কোনো সরকার উন্নয়নের নামে জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করতে পারবে না।'

দুই ধাপে ১০ বছরের জন্য এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। প্রথম ধাপে ৫ বছরে ৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে—যার মধ্যে চীন থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৬ হাজার ৭০০ কোটি এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

বিএনপির অবস্থান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছে বিএনপি। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। নির্বাচনের আগে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ক্ষমতায় গিয়ে বাস্তবায়ন করবে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই। আমরা অনেক দিন যাবত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কথা বলছি, আন্দোলন করছি, কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের আন্দোলন চলমান আছে। বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ টিবিএসকে বলেন, 'তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এটা এদেশের জনগণের চাহিদা, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষের চাহিদা। আমাদেরকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।'

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের ভাষ্যে, 'উত্তরাঞ্চল খরাপিড়িত এলাকায় উন্নয়নে আজকের যে তিস্তা মহা-পরিকল্পনা তা গুরুত্বসহকারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সাল তিস্তা ব্যারেজ কাজ শেষ হয়। বর্তমান তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে বিএনপি।' 

চলতি বছরের ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদীর ন্যায্য পানি বণ্টন ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। 'জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই' স্লোগান সেই কর্মসূচিতে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে লক্ষাধিক মানুষ এতে অংশ নেয়। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ছবি: টিবিএস

এসময় তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয় বা দিতে দেরি করে—তিস্তা চুক্তি করতে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কৃষি, কৃষক ও নদী বাঁচাতে, তিস্তা সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদেরই বাঁচার পথ খুঁজে নিতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৫৪টি অভিন্ন নদী, এই নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয়। এটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্য। অথচ আমরা কী দেখছি? তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য বাংলাদেশ তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষকে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এই পানি-বণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেই চলেছে।'

'ভারত আমাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছে না'

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন হতে পারে—এমন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম হাক্কানী বলেন, 'ভারতের নাখোশ হওয়ার কিছু নাই। এটা আমাদের অস্তিত্ব লড়াই, আমাদের জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম।'

একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. ওবায়দুল হক টিবিএসকে বলেন, 'তিস্তা প্রকল্পে চীনের আগ্রহ আছে। তবে চীনকে দিয়ে করাতে হবে, এমন কথা নেই। অন্য কাউকে দিয়েও করানো যেতে পারে। ভারতের সংবেদনশীলতা আমরা বুঝি, কিন্তু ভারত আমাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছে না। আমাদের বিষয়ও ভারতকে বুঝতে হবে। ভারতের বিষয়কে সিরিয়াসলি [গুরুত্বসহকারে] দেখার কিছু নেই। এটাকে ভারত সিরিয়াসলি দেখতে চাইলে আমাদের পানির বিষয়ও তাদের সিরিয়াসলি দেখতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তার বিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো তা নিতে পারবে না। বিএনপির কর্মসূচি এখন পর্যন্ত যথাযথ আছে। তবে সরকার গঠনের পর তাদের অবস্থান দেখতে হবে।'

তিস্তা সংকটের শুরু যেভাবে

তিস্তা নদীর উৎপত্তি হিমালয়ে, ভারতের সিকিম রাজ্যে। এটি পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় প্রবেশ করেছে। শেষে এটি ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে।

১৯৯৮ সালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশ হিসেবে তিস্তা নদীর উপর গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ করে ভারত। ফলে তিস্তার স্বাভাবিক প্রবাহ পরিবর্তিত হয়। 

শুষ্ক মৌসুমে গজলডোবা ব্যারাজের মাধ্যমে পানি আটকে রাখার কারণে বাংলাদেশের অংশে পানির প্রবাহ থাকে না। এতে নদী অববাহিকায় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চর সৃষ্টি হয়েছে। পানি না থাকায় কৃষিকাজে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে।

অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে উজানে বৃষ্টিপাত এবং গজলডোবা ব্যারাজ থেকে হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। নদী-ভাঙনের ফলে হারাতে হচ্ছে ভূমি। প্রতিবছর দুর্ভোগ পোহাতে হয় তিস্তাপাড়ের মানুষকে। 

তিস্তা নদীতে জল-বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। ১৯৮৩ সালে ভারত এবং বাংলাদেশ একটি অস্থায়ী পানি বণ্টন চুক্তি করে। এই চুক্তি অনুযায়ী, তিস্তার পানির ৩৯ শতাংশ ভারতের এবং ৩৬ শতাংশ বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত হয়। তবে, এই চুক্তি কখনো স্থায়ী চুক্তিতে রূপান্তরিত হয়নি। নানা সময়ে আলোচনা চললেও সেই আলোচনা আলোর মুখ দেখেনি।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তার পানি-বণ্টন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতার কারণে শেষ মুহূর্তে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি। বর্তমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বারবার তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।

আছে প্রকল্পের সমালোচনাও

তিস্তা মহাপরিকল্পনা নকশা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। তারা বলছেন, চীনের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ত্রুটি রয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নদীর প্রশস্ততা হ্রাস পাবে। নদীর তলদেশে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্ন হবে। ফলে অঞ্চলটিতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। 

তবে তারা এও বলছেন, ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী আইনে দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ তাদের।

রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ-কমিটির নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. নাহিদ ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'আমাদের দাবি হচ্ছে তিস্তার বর্তমান প্রশস্ততা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। তিস্তার উপনদীগুলো প্রবহমান রাখতে হবে।' 

ফাইল ছবি: টিবিএস

তিস্তা নদীর দুটি প্রবাহ রয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'তিস্তার একটি প্রবাহ ভূপৃষ্ঠের প্রবাহ অন্যটি ভূগর্ভস্থ প্রবাহ। প্রকল্পে তিস্তাকে নদী হিসেবে হাজির না করে একটি কৃত্রিম চ্যানেল হিসেবে হাজির করেছে চীন। এই পরিকল্পনায় নদীর যে গভীরতার কথা বলা হয়েছে, তাতে নদীর ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ উন্মুক্ত হয়ে যাবে। ফলে ভূগর্ভস্থ তিস্তার পানি জলীয় বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে।' 

তবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নকশায় ত্রুটি আছে—এমন বক্তব্য মানতে নারাজ 'তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ'-এর সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী। বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'তারা তিস্তা পাড়ের লোক না। এখানে ভূ-রাজনীতির নানা ধরনের খেলা চলছে। আমরা ভূ-রাজনীতির কোনো খেলার সঙ্গে নেই। তিস্তা পাড়ের মানুষের কথা হচ্ছে, দ্রুত নদী খনন করো। তিস্তাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। পানি ধরে রাখতে পারলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উপরে উঠবে। শাখা নদীগুলোর পানি থাকবে।'

এ ব্যাপারে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ টিবিএসকে বলেন, তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানোর আগে পরিকল্পনা কী, বাস্তবায়ন হলে এর পরিণতি কী হবে, ফলাফল কী হবে-সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক আছে।' 

তিনি বলেন, 'ভারত যেন তিস্তার পানির প্রবাহ বাড়ায় সে দাবি জানাতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী আইনে স্বাক্ষর করে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা।'

Related Topics

টপ নিউজ

তিস্তা / তিস্তা মহাপরিকল্পনা / বিএনপি / তিস্তা পানি চুক্তি / ভারত

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ফাইল ছবি: টিবিএস
    ড্যাপ সংশোধন: কোন এলাকায় ভবনের উচ্চতা কতটুকু বাড়ছে?
  • ছবি: টিবিএস
    ড্যাপ সংশোধনীতে ফ্লোর ইউনিটও বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি: জেনে নিন কোন এলাকায় কত
  • ফাইল ছবি: মুমিত এম
    দ্বিগুণেরও বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুযোগ দিয়ে ড্যাপ সংশোধন, ঢাকার বাসযোগ্যতা নিয়ে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
  • ছবি: সংগৃহীত
    মৃত্যুর ২৯ বছর পর সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
  • ছবি কোলাজ: টিবিএস
    এক মাস আগে জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনা হয়; বাঁচার আকুতি জানালেও সাহায্য করেননি বর্ষা: পুলিশ
  • ছবি: সংগৃহীত
    এই সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে; দলীয় লোক বাদ দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি

Related News

  • এই সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে; দলীয় লোক বাদ দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি
  • খারাপ তালেবান এখন ভালো তালেবান! ভারতের নতুন চেহারা ও তালেবান প্রেম
  • অর্থনীতির সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে: আমীর খসরু
  • সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি
  • বিএনপির কণ্ঠে ফ্যাসিবাদের সুর শোনা যায়: মিয়া গোলাম পরওয়ার

Most Read

1
ফাইল ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

ড্যাপ সংশোধন: কোন এলাকায় ভবনের উচ্চতা কতটুকু বাড়ছে?

2
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

ড্যাপ সংশোধনীতে ফ্লোর ইউনিটও বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি: জেনে নিন কোন এলাকায় কত

3
ফাইল ছবি: মুমিত এম
বাংলাদেশ

দ্বিগুণেরও বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুযোগ দিয়ে ড্যাপ সংশোধন, ঢাকার বাসযোগ্যতা নিয়ে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

4
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

মৃত্যুর ২৯ বছর পর সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

5
ছবি কোলাজ: টিবিএস
বাংলাদেশ

এক মাস আগে জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনা হয়; বাঁচার আকুতি জানালেও সাহায্য করেননি বর্ষা: পুলিশ

6
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

এই সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে; দলীয় লোক বাদ দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net