আমি আওয়ামী লীগ করি না, কাজেই তাদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না: এ কে আজাদ

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার যে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীরা তুলেছেন, সেটির কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ। তিনি এখন 'আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন' বলেও জানিয়েছেন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, 'আমি আওয়ামী লীগ করি না, কাজেই তাদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না।'
তবে বছর দেড়েক আগে এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। কিন্তু অনেক আগেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'অনেক আগেই আমাকে তারা বহিষ্কার করেছে। সে কারণে গত নির্বাচনেও আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে ভোট করেছি।'
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করা এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় অনুপস্থিতি থাকার কারণে আজাদকে দল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
'ওই ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই', যোগ করেন তিনি।
এ কে আজাদ দাবি করলেও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে রোববার ফরিদপুরে তার গাড়িবহনে হামলা চালায় বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
এ কে আজাদ বলেন, 'তাদের এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই। আসলে তারা আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। তাদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে তারা এটা প্রমাণ করুক আমি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছি।'
গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীতপ্রার্থীকে পরাজিত করে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এ কে আজাদ।
এবারও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ী এই নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, 'এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। মাঠে ঘুরে জনমত যাচাই করছি। দেখছি বর্তমান প্রশাসনের অধীরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না। এগুলো দেখে পরবর্তীতে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
রোববারের হামলার ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।