নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে মশাল মিছিল
চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার দাবিতে মশাল মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার সীমান্তবর্তী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
এর আগে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর কাকিনা পয়েন্টে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় আয়োজিত মশাল মিছিলে তিস্তা পাড়ের সাধারণ মানুষ ছাড়াও নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় বক্তারা জানান, নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে, অন্যথায় লাগাতার আন্দোলন চলবে।
ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, '২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন। আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি চাই না, এখন তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু দেখতে চাই। এটা নদীপারের দুই কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। তিস্তার ভাঙনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিঃস্ব হচ্ছে উত্তরের দুই কোটি মানুষ। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্যাটেলাইট টাউন, শিল্প কলকারখানা ও আবাদি জমি রক্ষা পাবে। ফলে উত্তরাঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এর আগে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নতুন করে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এবং নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ দৃশ্যমান না হলে লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।'
উল্লেখ্য, বৈষম্যগ্রস্ত তিস্তা অববাহিকার দুই কোটি মানুষের প্রাণের দাবি 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'। এই দাবিকে সামনে রেখে 'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই' স্লোগানে গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তার দুই তীরে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। নদীপারের পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে লাখো মানুষ অংশ নেন। দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনের দাবিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
