জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ড: সাবেক মন্ত্রী–এমপিসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ

জুলাই–আগস্ট আন্দোলনকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি পৃথক মামলায় আনিসুল হক, দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সাবেক ১০ মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। এদিন কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পৃথক মামলায় আটক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। পরে পর্যায়ক্রমে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম ও শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এর আগে গত ২০ জুলাই মামলার তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় চেয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সময় মঞ্জুর করে আজকের দিন নির্ধারণ করেন। তবে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় পুনরায় সময় আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন।
সকালে আদালতের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের আগে প্রত্যেককে তল্লাশি করে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ১৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেদিনও প্রসিকিউশন আরও তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করে, যা মঞ্জুর করে আদালত ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন। এরও আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ মোট ১৯ আসামিকে হাজির করা হয়েছিল; শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।